হুগলি জেলার  সংক্ষিপ্ত বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মধ্যে থেকে অন্যতম হল হুগলি। এটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত জেলা। এই জেলার সদর শহর চুঁচুড়া। এই জেলার অন্যতম প্রধান শহর হল হুগলি। এই শহরের নামেই হুগলি জেলার নামকরণ।

তবে ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের মতে পোর্তুগিজ বণিকেরা ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে তৎকালীন সময়ের হুগলিতে পণ্য মজুদ করার গুদাম তৈরি করে। ওই গুদাম কে বলা হত ‘গোলা’। গোলা থেকেই ‘হুগলি’ নামের উৎপত্তি। পোর্তুগিজরা ‘গোলা’ কে বলত ‘ওগোলিম্’ অথবা ‘ওগোলি’। যা বাঙালিদের উচ্চারণে হুগলি হয়ে যায়।

কিন্তু এই মত অস্বীকার করেছেন শম্ভুচন্দ্র দে। তাঁর মতে, হুগলি নদীর তীরে এক সময় প্রচুর হোগলা গাছ ছিল। এই কারণে অঞ্চলটির নাম হয়ে যায় হুগলি। পরবর্তী সময়ে পোর্তুগিজরা নামটি বিকৃত করে ‘গোলিম্’ বা ‘গোলিন্’ উচ্চারণ করত। এর প্রমাণ পাওয়া যায় আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’ আর ফারিয়া সোউজারের গ্রন্থে। ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে ‘হুগলি’ নামটির উল্লেখ রয়েছে। আর পোর্তুগিজ লেখক ফারিয়া সোউজারের গ্রন্থে ‘গোলিন’ নামটি পাওয়া যায়। এই গ্রন্থটি ‘আইন-ই-আকবরী’ -র কিছু সময় পর রচিত হয়েছিল।

হুগলি জেলার ইতিহাস

১৭৯৫ সালে হুগলি জেলাকে বর্ধমানের দক্ষিণাংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এর পিছনে ইংরেজদের প্রশাসনিক কারণ ছিল। সেই সময় হাওড়া হুগলি জেলার অংশ ছিল। তারপর ১৮৪৩ সালের ২৭ শে ফেব্রুয়ারি হাওড়া স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

দক্ষিণ রাঢ়ের সাথে হাওড়া জেলা যুক্ত ছিল। তবে তা প্রাচীনকালের কথা। এই জেলায় সেই সময় বসবাস করত কৈবর্ত আর বাগদিরা। এর উল্লেখ রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, মনুসংহিতা আর পঞ্চম অশোক স্তম্ভ লিপিতে। তাদের জীবিকা ছিল মাছ শিকার। আর হাওড়া জেলায় প্রচুর খাল, বিল থাকায় তাদের জীবিকা নির্বাহে কোনো প্রকার অসুবিধা হত না।

‘হুগলি’ নামের উল্লেখ বেশকিছু প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া যায়। যেমন :- বিপ্রদাস পিপলাইয়ের ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য, আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থ ইত্যাদি। তবে বেশ কিছু ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে জানা যায় ১২৯৮ সাল নাগাদ হাওড়া জেলায় মুসলিম শাসকদের সদর কার্যালয় ছিল। ১৫৩৯ সাল নাগাদ সপ্তগ্রামে পোর্তুগিজরা ব্যবসা শুরু করেছিল। কিন্তু ষোড়শ শতক নাগাদ সরস্বতী নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভাগীরথীর খাতে পরিবর্তন আসে। এই কারণে পর্তুগিজরা ব্যবসার জন্য ভাগীরথী নদীর তীরে হুগলি বন্দর গড়ে তোলে। ১৮২৫ সালের ৭ ই মে ইংরেজরা চুঁচুড়ার দখল নেয়। সেই সময় চুঁচুড়ার নিকটবর্তী চন্দননগর ছিল ফরাসিদের অন্তর্গত।

হুগলি জেলার অবস্থান

এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে বর্ধমান জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে হাওড়া জেলা ও মেদিনীপুর জেলা। আবার পূর্ব দিকে রয়েছে হুগলি নদী ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলার পশ্চিম দিকে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা।

হুগলি জেলার জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার মোট জনসংখ্যা ৫৫ লাখ ১৯ হাজার ১৪৫ জন। জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের জেলাগুলির মধ্যে হুগলি জেলা ষোড়শ স্থানে রয়েছে। এই জেলার জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ৭৫৩ জন। ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে হুগলি জেলায় ৯.৪৯ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জেলার লিঙ্গানুপাত হল ১০০০ : ৯৫৮ ( পুরুষ : মহিলা )।

হুগলি জেলার ভূপ্রকৃতি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে বর্ধমান বিভাগের হুগলি জেলা অপরূপ সুন্দর। প্রাকৃতিকভাবে এই জেলা ২ ভাগে বিভক্ত। একটি হল উচ্চভূমি আর অপরটি হল সমভূমি। এই জেলার স্বাভাবিক ঢাল উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে। এই জেলার সমভূমি অঞ্চলকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন – দামোদর নদী ও তারকেশ্বর নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল, আবার দামোদর নদী ও হুগলি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল।

হুগলি জেলার জলবায়ু

এই জেলার জলবায়ু উষ্ণ আর্দ্র ও ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির। এই জেলার সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। আর সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা থাকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এই জেলায় সর্বাধিক বৃষ্টিপাত বর্ষাকালেই হয়‌। হুগলি জেলার গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১ হাজার ২০০ মিলিমিটার থেকে ১ হাজার ৪০০ মিলিমিটার।

হুগলি জেলার নদ-নদী

হুগলি জেলায় একাধিক খাল, বিল ও বিভিন্ন জলাশয় রয়েছে। এই জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে হুগলি নদী, তারকেশ্বর নদী, দামোদর নদী ইত্যাদি।

হুগলি জেলার ভাষা

পশ্চিমবঙ্গের মাতৃভাষা বাংলা। এই রাজ্য ৫ টি উপভাষা অঞ্চলে বিভক্ত। সমগ্র হুগলি জেলা রাঢ় উপভাষা অঞ্চলের অন্তর্গত। এছাড়াও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, বীরভূম, কলকাতা ও বর্ধমান রাঢ় অঞ্চলের অন্তর্গত। রাঢ় অঞ্চল আবার ২ ভাগে বিভক্ত। একটি হলো পশ্চিম রাঢ়ী আর অপরটি হল পূর্ব রাঢ়ী। হুগলি জেলা পূর্ব রাঢ়ী অঞ্চলের অন্তর্গত। রাঢ় শব্দটি এসেছে সাঁওতালি ভাষার ‘রাঢ়ো’ শব্দ থেকে। এর অর্থ হল পাথুরে জমি।

হুগলি জেলার দর্শনীয় স্থান

হুগলি জেলায় একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন –

১. বৃন্দাবন চন্দ্রের মন্দির :- এটি গুপ্তিপাড়ায় অবস্থিত। তবে আশেপাশের এলাকায় ‘গুপ্তিপাড়ার মঠ’ নামেই এটি বেশি বিখ্যাত। পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত সব তীর্থক্ষেত্র গুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল বৃন্দাবন চন্দ্রের মন্দির। এই মন্দির অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে শেওড়াফুলির রাজা হরিশ্চন্দ্র রায় নির্মান করিয়েছিলেন।

২. তারকেশ্বর :- হুগলি জেলার একটি বিখ্যাত স্থান হল তারকেশ্বর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থক্ষেত্র হিসেবেই এটি বেশি প্রসিদ্ধ। এখানে বাবা তারকনাথের মন্দির আছে। মহাদেবের এই নাম অনুযায়ী অঞ্চলটির নামকরণ হয়েছে। শ্রাবণ মাসে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে।

এছাড়াও রয়েছে- ব্যান্ডেল চার্চ, হুগলির ইমামবাড়া, চন্দননগর মিউজিয়াম, আঁটপুর রামকৃষ্ণ মিশন, আঁটপুর রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির, ওলন্দাজ কবরস্থান, হংসেশ্বরী কালী মন্দির ও শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ ইত্যাদি।

হুগলি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা 

হুগলি জেলায় বেশকিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল – সদর জেলা হাসপাতাল ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল।

হুগলি জেলার  শিক্ষা ব্যবস্থা 

এই জেলার মোট সাক্ষরতার হার ৮১.৮০ শতাংশ। শ্রীরামপুর মহকুমার সাক্ষরতার হার ৮৬.১৩ শতাংশ, চন্দননগর মহকুমার সাক্ষরতার হার ৮৩.০১ শতাংশ। অপরদিকে আরামবাগ মহাকুমার সাক্ষরতার হার ৭৯.০৫ শতাংশ। আর চুঁচুড়া মহকুমার সাক্ষরতার হার ৭৯.১৭ শতাংশ।

হুগলি জেলায় মোট ৩ হাজার ১৩ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। আর রয়েছে ১৫২ টি মধ্যবিদ্যালয়। এই জেলার উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৯২ টি। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৫৯। সাধারণ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৮ টি। অপরদিকে প্রযুক্তিগত ও পেশা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৮ টি।

এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হল – শ্রীরামপুর কলেজ, ফুরফুরা ফাতেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, হুগলি মাদ্রাসা, মহসিন কলেজ, চন্দননগর গভর্মেন্ট কলেজ, সিতাপুর ইন্ডাওমেন্ট সিনিয়র মাদ্রাসা, বালাগড় বিজয় কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়, শ্রীরামপুর গার্লস কলেজ, ওমেন্স পলিটেকনিক কলেজ, রাজা পিয়ারি মোহন কলেজ ইত্যাদি।

হুগলি জেলার পরিবহন ব্যবস্থা 

এই জেলায় উন্নত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে রেলপথের সুবন্দোবস্ত। এই জেলার কয়েকটি রেলস্টেশন হল – শ্রীরামপুর রেলস্টেশন, ডানকুনি জংশন, ব্যান্ডেল জংশন, হুগলি রেলস্টেশন, শেওড়াফুলি জংশন ইত্যাদি।

হুগলি জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

এই জেলার সাথে সম্পর্কিত কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন –

১. মোহিতলাল মজুমদার :- বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।
২. আশাপূর্ণা দেবী :- প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক।
৩. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় :- বাঙালি কবি, লেখক ও সাংবাদিক।
৪. রাজা রামমোহন রায় :- ভারতীয় রেনেসাঁর জনক। এছাড়াও আত্মীয় সভা ও ব্রহ্ম সভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
৫. নন্দলাল বসু :- বাঙালি চিত্রশিল্পী।
৬. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় :- বাঙালি ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার।
৭. মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী :- বিশিষ্ট ইসলামী পীর ও সমাজ সংস্কারক।
৮. আব্বাস সিদ্দিকী :- বিশিষ্ট ধর্মগুরু, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও রাজনীতিবিদ।
৯. রামগতি ন্যায়রত্ন :- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গ্রন্থকার ও সমাজ সচেতক।
১০. অক্ষয় চন্দ্র সরকার :- বাঙালি কবি, সাহিত্য সমালোচক ও প্রাবন্ধিক।
১১. কানাইলাল দত্ত :- স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
১২. ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় :- ধর্মপ্রচারক।
১৩. রামগোপাল ঘোষ :- ইয়ং বেঙ্গল গ্রুপের নেতা, সফল ব্যবসায়ী ও সমাজ সংস্কারক।
১৪. রাজা দিগম্বর মিত্র :- রাজনীতিবিদ, লেখক ও ব্যবসায়ী।
১৫. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় :- বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, সাহিত্যপত্র বঙ্গ দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা।

এছাড়াও রয়েছেন – দ্বারকানাথ মিত্র, কিশোরী চাঁদ মিত্র, প্যারীচাঁদ মিত্র, নবগোপাল মিত্র, ভূদেব মুখোপাধ্যায়, মতিলাল রায়, সাগর লাল দত্ত, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সুব্রত মুখার্জি, নিবারণ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অক্ষয় কুমার বড়াল, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, কালি মির্জা, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, শিশির কুমার মিত্র, মধুসূদন গুপ্ত, অরবিন্দ ঘোষ, মনমোহন ঘোষ, শশধর দত্ত, অনুপ কুমার, রসিকচন্দ্র রায়, তাপস পাল, হলধর পটল প্রমূখ।

হুগলি জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা

এই জেলার সদর শহর হল চুঁচুড়া। হুগলির মহকুমা ৪ টি। যথা :- শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া ও আরামবাগ।

এই জেলার পৌরসভা ১২ টি। আর ব্লক ১৮ টি। এই জেলায় ২৩ টি থানা রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ২০৭ টি। এই জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে ১৮ টি। আর গ্রাম রয়েছে ১ হাজার ৯৩১ টি।

এই জেলায় লোকসভা কেন্দ্র ৩ টি। যথা :- শ্রীরামপুর, আরামবাগ ও হুগলি। আর বিধানসভা কেন্দ্র ১৮ টি‌। হুগলি জেলায় ১ টি জেলা পরিষদ রয়েছে।

হুগলি জেলার প্রশ্ন উত্তর 

হুগলি কিসের জন্য বিখ্যাত ?

উঃ হুগলি বাবা তারকনাথের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থক্ষেত্র হিসেবেই এটি বেশি প্রসিদ্ধ। এখানে বাবা তারকনাথের মন্দির আছে। মহাদেবের এই নাম অনুযায়ী অঞ্চলটির নামকরণ হয়েছে। শ্রাবণ মাসে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে।

হুগলি জেলায় কয়টি ব্লক রয়েছে ?

উঃ এই জেলায় ১৮ টি ব্লক রয়েছে।

হুগলি জেলার মহকুমা কয়টি ?

উঃ হুগলির মহকুমা ৪ টি। যথা :- শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া ও আরামবাগ।

হুগলি জেলায় কয়টি থানা আছে ?

উঃ এই জেলায় ২৩ টি থানা রয়েছে।

হুগলি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।

উঃ হুগলি জেলায় বেশকিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল – সদর জেলা হাসপাতাল ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল।

হুগলি জেলার প্রধান নদী কোনটি ?

উঃ হুগলি জেলার প্রধান নদী হুগলি।

হুগলি জেলার পাহাড়ের নাম লেখ।

উঃ এই জেলায় কোনও পাহাড় নেই।

হুগলি জেলার পৌরসভা কয়টি ?

উঃ এই জেলার পৌরসভা ১২ টি।

উপসংহার

পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মধ্যে থেকে অন্যতম হল হুগলি। এটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত জেলা। এই জেলার সদর শহর চুঁচুড়া। এই জেলার অন্যতম প্রধান শহর হল হুগলি। এই শহরের নামেই হুগলি জেলার নামকরণ। ১৭৯৫ সালে হুগলি জেলাকে বর্ধমানের দক্ষিণাংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।

এর পিছনে ইংরেজদের প্রশাসনিক কারণ ছিল। সমগ্র হুগলি জেলা রাঢ় উপভাষা অঞ্চলের অন্তর্গত। ‘হুগলি’ নামের উল্লেখ বেশকিছু প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া যায়। যেমন :- বিপ্রদাস পিপলাইয়ের ‘মনসামঙ্গল’ কাব্য, আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থ ইত্যাদি। জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের জেলাগুলির মধ্যে হুগলি জেলা ষোড়শ স্থানে রয়েছে।

প্রাকৃতিকভাবে এই জেলা ২ ভাগে বিভক্ত। একটি হল উচ্চভূমি আর অপরটি হল সমভূমি। এই জেলার মোট সাক্ষরতার হার ৮১.৮০ শতাংশ। এই জেলার জলবায়ু উষ্ণ আর্দ্র ও ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আজকের প্রতিবেদনটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Leave a Comment