মালদহ জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

এটি মালদহ বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এই জেলা কলকাতা থেকে ৩৮৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৪৭ সালের ১৭ ই আগস্ট পুরোনো মালদহ জেলার অংশ নিয়ে এই নতুন জেলা গঠিত হয়। এই জেলার সদর শহর হল ইংরেজ বাজার। আজ মালদহ জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

মালদহ জেলার ইতিহাস

মনে করা হয় বিশিষ্ট দার্শনিক ও বৈয়াকরণ পাণিনির উল্লেখিত “গৌড়পুর” -ই বর্তমানের মালদহ। পুরাতন গৌড় আর পান্ডুয়া বর্তমানের ইংরেজ বাজার উত্তর ও ইংরেজ বাজার দক্ষিণ। এই সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি আর পরিবর্তনের প্রমাণ বেশকিছু পৌরাণিক পুস্তকে রয়েছে। এক সময় পাল রাজারা এই অঞ্চলে সাম্রাজ্য বিস্তার করে। তারপর সেন রাজারা এই অঞ্চলে শাসন শুরু করে। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী রাজা লক্ষণ সেন এর কাছ থেকে গৌড় উদ্ধার করেন। তারপরেও সেন বংশের রাজা বিশ্বরূপ সেন, মাধব সেন ও কেশব সেন গৌড় অঞ্চলে শাসন করেছেন। তাঁদের উপাধি ছিল ‘গৌড়েশ্বর’।

আফগান সম্রাট শের শাহ সুরি মালদহ -তে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। এরপর মুঘল সম্রাট হুমায়ুন তা পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেন। এই অঞ্চলের আম বেশ বিখ্যাত। আমের স্বাদে মুগ্ধ হয়ে হুমায়ুন মালদহের নাম দেন ‘জান্নাতাবাদ’। যদিও সেই সময় এই অঞ্চলের নাম ছিল গৌড় অঞ্চল। এরপর যখন গঙ্গা প্রবাহের তারতম্য দেখা দেয়, সেই সময় গৌড় ঢাকাতে স্থানান্তরিত হয়। ব্রিটিশ শাসনের প্রথমদিকে মালদহ জেলার কোনও অস্তিত্ব ছিল না।

১৭৯৩ সালে মালদহ অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে বিভিন্ন অশান্তি ও প্রতিবাদের কারণে বামন গোলা, নাচোল, ভোলাহাট, হবিবপুর সহ বেশ কিছু থানা নিয়ে মালদহ জেলা গঠিত হয়। ১৮৫৮ সালে এই জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট কালেক্টর নিযুক্ত করা হয়। আর তারপর থেকেই এটি সম্পূর্ণ জেলা রূপে স্বীকৃতি পায়। এরপর ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পাশাপাশি দেশ বিভক্ত হয়। আর এতে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল মালদহ জেলা। এই অঞ্চলের সীমানা অনিশ্চিত থাকার কারণে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট পর্যন্ত সকলেই অজানা ছিলেন এই জেলা আসলে কোন্ রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হবে। প্রাক্ স্বাধীনতা কালীন সময় পূর্ববঙ্গের ম্যাজিস্ট্রেট এই জেলার সমস্ত শাসনভার সামলাতেন। রেডক্লিফ পুনঃ বিবেচনা করে ১৭ ই আগস্ট এই জেলার বেশিরভাগ অংশ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। আর মালদহ জেলা রূপ পায়। এই জেলার নবাবগঞ্জ মহকুমা যুক্ত হয় পূর্ববঙ্গের রাজশাহী জেলার মহকুমা রূপে।

মালদহ জেলার অবস্থান

এই জেলার সাথে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, শিবগঞ্জ উপজেলা আর নওগাঁ জেলার সাপাহার, পরসা উপজেলার আন্তর্জাতিক সীমানা বন্টিত রয়েছে। এছাড়াও বিহারের কাটিহার জেলার পরানপুর, বারসই,
অজমগড় সহ ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বেশ কিছু অংশ মালদহ জেলার সীমানার সাথে যুক্ত। আর উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর, বংশীহারী, তপন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক মালদহ জেলার সীমানার সাথে বন্টিত।

মালদহ জেলার জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৫ জন। জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গের এই জেলাটির স্থান ৫৮ তম। এই জেলার জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ৭১ জন। ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই জেলার জনসংখ্যা ২১.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মালদহ জেলার লিঙ্গানুপাত হল ১০০০ : ৯৪৪ (পুরুষ : মহিলা)। সমগ্র জনসংখ্যার মাত্র ১৫.২৭ শতাংশ শিশু রয়েছে এই জেলায়।

মালদহ জেলার ভূপ্রকৃতি

এই জেলার মৃত্তিকা সমতল‌। এই জেলার দক্ষিণভাগে গঙ্গা প্রবাহিত হওয়ায় সেখানকার মৃত্তিকা পলল প্রকৃতির। আর অঞ্চলটি বেশ উর্বর হওয়ার দরুন কৃষি কাজের জন্য অনুকূল। এই অঞ্চলটি সমতল হলেও বেশ কিছু স্থানে উঁচু নিচু ভূমিভাগ দেখতে পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে বেশকিছু নদী উত্তর থেকে দক্ষিনে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। এর ফলে মালদায় চাষাবাদ বেশ ভালো হয়। কিন্তু এর পাশাপাশি বন্যার ঝুঁকিও থাকে।

মালদহ জেলার মেলা

মালদহ জেলায় বেশ কিছু মেলা বসে। সেগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল –
১. দরিয়াপুর মেলা
২. চড়ক মেলা
৩. রামকেলি মেলা
৪. ময়না বিষহরি মেলা
৫. কাহালা দুর্গাপূজা মেলা
৬. বেহুলা মেলা ইত্যাদি।

মালদহ জেলার নদ-নদী

এই জেলায় টাঙ্গন, পুনর্ভবা, মহানন্দা ও গঙ্গা নদী উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। এছাড়াও এই অঞ্চলে রয়েছে – তিলজলা নদী, ভাগীরথী নদী, বেহুলা নদী, পাগলা নদী, ফুলহার নদী, চিন্তামণি নদী ইত্যাদি।

মালদহ জেলার বনভূমি

এই জেলার মাত্র ১৭ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত। যা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় খুবই কম। এই জেলার দক্ষিণ দিকে আর মধ্যভাগে অবস্থিত বনভূমি মহানন্দা ও কালিন্দী নদীর তটে অবস্থিত।

মালদহ জেলার দর্শনীয় স্থান

এই জেলায় একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন –
১. চাঁচল রাজবাড়ি
২. আদিনা গোলঘর
৩. আদিনা মসজিদ
৪. আদিনা হরিণ অরণ্য
৫. একলাখী সমাধি সৌধ
৬. চিকা মসজিদ
৭. বারদুয়ারি মসজিদ
৮. চামকাটি মসজিদ
৯. রামকেলি অষ্ট কুন্ড
১০. দাখিল দরওয়াজা
১১. ফিরোজ মিনার
১২. লুকোচুরি গেট
১৩. মা জহুরা মন্দির
১৪. জগজীবনপুর বৌদ্ধবিহার
১৫. অ্যাকোয়াটিক বেঙ্গল ইত্যাদি।

মালদহ জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

এই জেলায় বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। যেমন –
১. মুলপুর গ্রামীন হাসপাতাল
২. মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
৩. মালতিপুর গ্রামীণ হাসপাতাল
৪. মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল ইত্যাদি।

মালদহ জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার পুরুষ সাক্ষরতার হার ৬৬.২৪ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৫৬.৯৬। মালদহ জেলা শিক্ষার দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে। এই জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হল –

১. মালদা টাউন উচ্চবিদ্যালয়
২. ললিত মোহন শ্যাম মহিনি উচ্চ বিদ্যালয়
৩. মালদা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়
৪. দ্য সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল
৫. নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ অ্যাকাডেমি
৬. টালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসা
৭. শোভানগর উচ্চ বিদ্যালয়
৮. গনি খান চৌধুরী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি সংস্থান
৯. মালদহ মহাবিদ্যালয়
১০. মালদহ বালিকা মহাবিদ্যালয়
১১. পাকুয়াহাট মহাবিদ্যালয়
১২. মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
১৩. গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
১৪. কালিয়াচক সরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

মালদহ জেলার পরিবহন ব্যবস্থা

এই জেলায় ৯৫ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এখানকার কয়েকটি রেলস্টেশন ও জংশন হল –
১. একলাখী জংশন
২. হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন
৩. মালদা টাউন রেলওয়ে স্টেশন
৪. ওল্ড মালদা জংশন
৫. সামসী স্টেশন ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে ১৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক ও ৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও রাজ্য সড়ক। এছাড়াও রয়েছে মালদা বিমানবন্দর।

মালদহ জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

এই জেলার সাথে সম্পর্কযুক্ত একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। যেমন –
১. বিনয় কুমার সরকার – অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বৈজ্ঞানিক।
২. শিবরাম চক্রবর্তী – প্রখ্যাত লেখক।
৩. রজনীকান্ত চক্রবর্তী – ঐতিহাসিক।
৪. বিধুশেখর শাস্ত্রী – অধ্যাপক।
৫. অসীম দাশগুপ্ত – পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও রয়েছেন – সৌরেন্দ্র মোহন মিশ্র, বিষ্ণু সেবক মিশ্র, সুভাষ ভৌমিক, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, আবিদ আলী খান প্রমূখ।

মালদহ জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা

মালদহ জেলা ৩৭৩৩.১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই জেলায় ২ টি মহকুমা রয়েছে। যথা :- চাঁচল মহকুমা ও মালদহ সদর মহকুমা।

চাঁচল মহকুমা :- এই মহকুমা ১১৬০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই মহকুমার অন্তর্গত ৫ টি ব্লক রয়েছে। যথা :- হরিশ্চন্দ্র পুর ১ ব্লক, হরিশ্চন্দ্র পুর ২ ব্লক, রতুয়া ১ ব্লক, রতুয়া ২ ব্লক, চাঁচল ১ ব্লক ও চাঁচল ২ ব্লক।

মালদহ সদর মহকুমা :- এই মহকুমা ২৫৭২.৬৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই মহকুমায় ২ টি পৌরসভা রয়েছে। যথা :- পুরোনো মালদহ পৌরসভা ও ইংরেজ বাজার পৌরসভা। আর রয়েছে ৯ টি ব্লক। যথা :- মানিকচক ব্লক, হাবিবপুর ব্লক, গাজোল ব্লক, কালিয়াচক ১ ব্লক, কালিয়াচক ২ ব্লক, কালিয়াচক ৩ ব্লক, ইংরেজ বাজার ব্লক, বামনগোলা ব্লক ও মালদহ ব্লক।

এই জেলার লোকসভা কেন্দ্র ২ টি। যথা :- মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণ। আর বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে ১২ টি। যথা :- সুজাপুর, গাজোল, রতুয়া, মালতীপুর, হাবিবপুর, বৈষ্ণবনগর, হরিশ্চন্দ্র পুর, মালদহ, ইংরেজ বাজার, চাঁচল, মানিকচক ও মোথাবাড়ি।

Afq :

মালদহ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?

উঃ মালদহ জেলা সুস্বাদু আমের জন্য বিখ্যাত।

মালদহ সদর মহকুমায় কয়টি ব্লক রয়েছে ?

উঃ এই মহকুমায় রয়েছে ৯ টি ব্লক। যথা :- মানিকচক ব্লক, হাবিবপুর ব্লক, গাজোল ব্লক, কালিয়াচক ১ ব্লক, কালিয়াচক ২ ব্লক, কালিয়াচক ৩ ব্লক, ইংরেজ বাজার ব্লক, বামনগোলা ব্লক ও মালদহ ব্লক।

মালদহ জেলার মহকুমা কয়টি ?

উঃ এই জেলার ২ টি মহকুমা। যথা :- চাঁচল মহকুমা ও মালদহ সদর মহকুমা।

মালদহ জেলায় কয়টি লোকসভা কেন্দ্র আছে ?

উঃ এই জেলার লোকসভা কেন্দ্র ২ টি। যথা :- মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণ।

মালদহ জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।

উঃ এই জেলায় বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। যেমন –
১. মুলপুর গ্রামীন হাসপাতাল
২. মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
৩. মালতিপুর গ্রামীণ হাসপাতাল
৪. মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল ইত্যাদি।

মালদহ জেলার প্রধান নদী কোনটি ?
উঃ এই জেলার প্রধান নদী মহানন্দা।

মালদহ জেলার পাহাড় সম্পর্কে লেখ।

উঃ মালদহ উত্তরবঙ্গের একটি জেলা হলেও এখানে কোন পাহাড় নেই। এটি সমভূমি।

মালদহ সদর মহকুমায় পৌরসভা কয়টি ?

উঃ এই মহকুমায় ২ টি পৌরসভা রয়েছে। যথা :- পুরোনো মালদহ পৌরসভা ও ইংরেজ বাজার পৌরসভা।

উপসংহার

এই জেলার বেশিরভাগ মানুষ বাংলা ভাষাতেই কথোপকথন করে থাকেন। এছাড়াও সাঁওতালি, খোরঠা, ওঁরাও, হিন্দি সহ বেশ কিছু ভাষায় তাঁরা কথা বলেন। এই অঞ্চলের আম বেশ বিখ্যাত। আমের স্বাদে মুগ্ধ হয়ে হুমায়ুন মালদহের নাম দেন ‘জান্নাতাবাদ’। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার পুরুষ সাক্ষরতার হার ৬৬.২৪ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৫৬.৯৬।

মালদহ জেলা শিক্ষার দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পাশাপাশি দেশ বিভক্ত হয়। আর এতে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল মালদহ জেলা। এই অঞ্চলের সীমানা অনিশ্চিত থাকার কারণে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট পর্যন্ত সকলেই অজানা ছিলেন এই জেলা আসলে কোন্ রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হবে।

প্রাক্ স্বাধীনতা কালীন সময় পূর্ববঙ্গের ম্যাজিস্ট্রেট এই জেলার সমস্ত শাসনভার সামলাতেন। রেডক্লিফ পুনঃ বিবেচনা করে ১৭ ই আগস্ট এই জেলার বেশিরভাগ অংশ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। আর মালদহ জেলা রূপ পায়। এই জেলার নবাবগঞ্জ মহকুমা যুক্ত হয় পূর্ববঙ্গের রাজশাহী জেলার মহকুমা রূপে।

Leave a Comment