শ্চিমবঙ্গের কয়টি জেলা  কি কি এবং এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বর্তমান সময় পশ্চিমবঙ্গের কয়টি জেলা রয়েছে ও কি কি ? তার নাম ও তার বিবরণ দেওয়া হলে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ২৩ টি জেলা থেকে আরো কিছু জেলা গঠন করা কথা বলেছেন।  নতুন জেলা গঠিত হলে আপনাদের কে জানিয়ে দেব। 

বর্তমান সময় পশ্চিমবঙ্গের  জেলা

পশ্চিমবঙ্গের জেলা কয়টি ও কি কি?

২০২২ এ পচিমবঙ্গে মোট ২৩ টি জেলা রয়েছে।  আপনাদের সুবিধার জন্য এই সমস্ত জেলা কে উত্তর বঙ্গ  ও দক্ষিণ দুটি ভাগে ভাগ করা হলো। 

পশ্চিমবঙ্গের  জেলা

উত্তরবঙ্গের জেলা ( পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকের জেলা )

  • আলিপুরদুয়ার
  • জলপাইগুড়ি
  • কোচবিহার
  • দার্জিলিং
  • কালিম্পং
  • উত্তর দিনাজপুর
  • দক্ষিণ দিনাজপুর
  • মালদহ

দক্ষিণবঙ্গের  জেলা ( পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ  দিকের জেলা )

  • মুর্শিদাবাদ
  • কলকাতা 
  • উত্তর চব্বিশ পরগনা
  • দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
  • নদিয়া
  • হাওড়া
  • পূর্ব বর্ধমান
  • পশ্চিম বর্ধমান
  • পূর্ব মেদিনীপুর
  • পশ্চিম মেদিনীপুর
  • ঝাড়গ্রাম
  • বাঁকুড়া
  • হুগলি
  • বীরভূম
  • পুরুলিয়া

পশ্চিমবঙ্গের প্রসাশনিক বিভাগের নাম

এই সমস্ত জেলা গুলি ৫টি প্রসাশনিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এই ৫ টি প্রসাশনিক বিভাগ গুলি হলো :

  1. জলপাইগুড়ি
  2. মালদহ
  3. বর্ধমান
  4. মেদিনীপুর
  5. প্রেসিডেন্সি
পশ্চিমবঙ্গের প্রসাশনিক বিভাগের নাম

পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার বিবরণ

২০২২ এর পচিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার সদর শহর , জনসংখ্যা , আয়তন , অবস্থান ও ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. আলিপুরদুয়ার : 

২০১৪ সালে ২৫ শে জুন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলাকে ভেঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠন করে ।আলিপুরদুয়ার জেলা পশ্চিমবঙ্গের 20তম জেলা। এই জেলায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (North East Frontier Railway) বিভাগীয় সদর দপ্তর রয়েছে। ভৌগোলিক দিক থেকে দেখলে হিমালয় পাদদেশে জেলাটি অবস্থান । আলিপুরেরদুয়ারে উত্তরে রয়েছে ভুটানের সীমারেখা , দক্ষিনে রয়েছে  কুচবিহার, পূর্ব আসাম এর অবস্থান  এবং পশ্চিমে রয়েছে জলপাইগুড়ি সীমারেখা । 

মাদারিহাট-বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার-১ , আলিপুরদুয়ার-2 , ফালাকাটা, কালাচিনি ও কুমারী গ্রাম এই সমস্ত ব্লক নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠিত। এই জেলায়  আলিপুরদুয়ার ও  ফালাকাটা দুটি  পৌরসভা রয়েছে। আলিপুরেরদুয়ার জেলায় ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৯টি টাউন আছে ।

আলিপুরদুয়ার জেলার থানা গুলি হল- আলিপুরদুয়ার ,শামুকতলা ,কুমারগ্রাম ,ফালাকাটা, কালচিনি ,জায়গাঁ ,মাদারী হাট ও বীরপাড়া থানা । এই  জেলার দুটি জাতীয় উদ্যান রয়েছে, বক্সার জাতীয় উদ্যান ও জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। চিলাপাতা বন এই জেলার আরেকটি বন।

জেলা জুড়ে প্রবাহিত প্রধান নদীগুলি হল তোর্সা, রায়ডাক, কালজানি, সংকোশ এবং গদাধর। এছাড়া ডিমা নদী , ঘরঘরিয়া নদী, পুগলি নদী ইত্যাদি নদী এই জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

 ১৭, ২৭ , এবং  ৩১৭ জাতীয় মহাসড়ক (NH) আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যে দিয়ে  গিয়েছে।  এছাড়া ১২ ও ১৬ এশিয়ার মহাসড়ক (AH) এই জেলার প্রধান  মহাসড়ক।

  • সদর দপ্তর : আলিপুরদুয়ার
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ২০১৪ সালে
  • আয়তন: ৩১৩৬ বর্গ কিলোমিটার
  • জনসংখ্যা : ১৫,০১,৯৮৩ ( পুরুষ = ৭,৭০,৯০৫, মহিলা = ৭,৩১,০৭৮ ) [২০১১ আদমশুমারি ]
  • সরকারী ভাষা : বাংলা, ইংরেজি , আঞ্চলিক- বাংলা, হিন্দি, বোডো, নেপালি
  • প্রধান মহাসড়ক :  ১৭, ২৭ , এবং  ৩১৭ জাতীয় মহাসড়ক এবং ১২ ও ১৬ এশিয়ার মহাসড়ক (AH) 
  • শিক্ষিত শতাংশ : ৬৪.৭% ( পুরুষ = ৩৬.২৩%, মহিলা = ২৮.৪৭% ) [২০১১ আদমশুমারি ]
  • প্রশাসনিক বিভাগ : জলপাইগুড়ি
  • প্রধান নদনদী : তোর্সা, রায়ডাক, কালজানি, সংকোশ এবং গদাধর।
  • মহকুমা (Sub-divisions) : আলিপুরদুয়ার
  • লোকসভা কেন্দ্র : আলিপুরদুয়ার
  • বিধানসভা কেন্দ্র : আলিপুরদুয়ার, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি

২. জলপাইগুড়ি :

১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে জেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জলপাইগুড়ি জেলার পূর্বদিকে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার, পশ্চিমে দার্জিলিং, উত্তরে ভুটান ও কালিম্পং এবং দক্ষিণে পশ্চিমবঙ্গ কোচবিহার জেলার ও বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। 

জলপাইগুড়ি জেলাতে মাল মহকুমা এবং  জলপাইগুড়ি মহকুমা  রয়েছে। আধারে তথ্য অনুযায়ী ২০২২ এ জলপাইগুড়ির জনসংখ্যা হল  ৪,১২৪,৪৬৪  জন। 

ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জলপাইগুড়ির জনসংখ্যা ২৩,৮১,৫৯৬ জন যার মধ্যে ১২,১৭,৫৩২ জন পুরুষ এবং ১১,৬৪০৬৪  জন মহিলা ৷ জলপাইগুড়ি জেলায় 4টি পৌরসভা রয়েছে জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি, মাল এবং ময়নাগুড়ি।এই জেলার সামগ্রিক শিক্ষার হার ৭৩.২৫ শতাংশ। 

জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা ও ব্লক :

মহকুমাব্লক
জলপাইগুড়ি মহকুমাজলপাইগুড়ি ব্লক
ময়নাগুড়ি ব্লক
রাজগঞ্জ ব্লক
ধুপগুড়ি ব্লক
বানারহাট ব্লক
মাল মহকুমামাল ব্লক
মাটিয়ালি ব্লক
নাগরকাটা ব্লক
ক্রান্তি ব্লক

জলপাইগুড়ি জেলার জেলার কিছু   বিদ্যালয় গুলি হল : 

  • অরবিন্দু মাধ্যমিক উচ্চতর বিদ্যালয়
  • জলপাইগুড়ি জিলা স্কুল
  • ফণীন্দ্র দেব বিদ্যালয়
  • জলপাইগুড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • সেন্ট্রাল বালিকা বিদ্যালয়
  • দেশবন্ধু নগর মাঘধ।স্যমিক বিদ্যালয়
  •  বাহাদুর মুন্নাজ হ্যাপি হোম হাই স্কুল
  •  রানীনগর রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ।

জলপাইগুড়ি জেলার কিছু  মহাবিদ্যালয় রয়েছে সেগুলি হল :

  • আনন্দ চন্দ্র কলেজ
  • প্রসন্ন দেব মহিলা মহাবিদ্যালয়
  • আনন্দ চন্দ্র কলেজ অফ কমার্স
  • জলপাইগুড়ি গর্ভমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
  • গর্ভমেন্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

জলপাইগুড়ি জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান :

  • গায়ের কাটা মধুবনী পার্ক  
  • বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ি সিংহ দুয়ার
  • যোগ মায়া কালী বাড়ি
  • দেবীত চৌধুরানী কালীবাড়ি
  •  জলেশ্বর মন্দির
  • মা ভ্রমরীদ দেবী মন্দির
  • জলপাইগুড়ির ইকো সিটি
  • তিস্তা নদীর পাড়
  • গোসাইহাট পার্ক

জলপাইগুড়ি জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : জলপাইগুড়ি
  • প্রতিষ্ঠার বছর : ১৮৬৯ সালে
  • আয়তন : ৩৩৮৬.১৮ বর্গ কিলোমিটার
  • জনসংখ্যা : ২৩৮১৫৯৬ ( পুরুষ =১২১৭৫৩২, মহিলা =১১৬৪০৬৪) [ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ]
  • সরকারী ভাষা : বাংলা, ইংরেজি ।
  • প্রধান মহাসড়ক :  ৩১ নং , ৩১এ , ৩১সি , ৩১ডি নং জাতীয় সড়ক
  • শিক্ষিত শতাংশ : ৮৬.৪৩%[২০১১ আদমশুমারি ]
  • প্রশাসনিক বিভাগ : জলপাইগুড়ি
  • প্রধান নদনদী : জলঢাকা নদী, করলা নদী, তিস্তা নদী, ব্রাহ্মণী নদী, ঝালং নদী, কুর্তি নদী, মাল নদী , বেখারী নদী ও ইত্যাদি।
  • লোকসভা কেন্দ্র : জলপাইগুড়ি । 
  • বিধানসভা কেন্দ্র : ধুপগুড়ি, মেখলিগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, মাল, নাগরাকাটা, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ । 
  • মহকুমা : জলপাইগুড়ি মহকুমা ও মাল মহকুমা। 

৩. কোচবিহার :

১৯৪৯ সালের ২৮ শে আগস্টের আগে পর্যন্ত কোচবিহার একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। কোচবিহারের মূলত ব্রিটিশ সরকারের অধীনে সামন্ত শাসক জিতেন্দ্রনারায়ণ পুত্র জগদ্দীপেন্দ্রনারায়ণ দ্বারা পরিচালিত হতো। ১৯৪৯ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বরের মহারাজ জগদ্দীপেন্দ্রনারায়ণ ও ভারত সরকারের মধ্যে দ্য ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে কোচবিহার ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৩৫ সালের ভারত সরকারের এর ধারা ২৯০ মাধ্যমে, ১লা জানুয়ারী ১৯৫০ সালে কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

এই জেলাটি যেহেতু পূর্বে রাজাদের দ্বারা পরিচালিত হতো তাই এই জেলার নাম হয় কোচবিহার। এখানে “কোচ” শব্দটির অর্থ হলো “রাজা” এবং বিহার (ভ্রমণ ) । কোচবিহার শব্দটির অর্থ হলো রাজারা যেস্থানে ভ্রমণ করতেন।

কোচবিহার জেলার উত্তরে রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা।  পূর্বে রয়েছে  অসম রাজ্য ও দক্ষিণে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখা। 

কোচবিহার সদর, দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা , মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জ এই পাচঁটি মহকুমা নিয়ে এই জেলা গঠিত। এই জেলায় কোচবিহার ,দিনহাটা ,মাথাভাঙ্গা, মেখলিগঞ্জ ,তুফানগঞ্জ ও হলদিবাড়ি পৌরসভা রয়েছে। কোচবিহার জেলায় মোট ১৬ টি  থানা রয়েছে।

কোচবিহার জেলার মানচিত্র

মহকুমা (Sub-divisions) :

ক্রমিক সংখ্যামহকুমা (Sub-divisions)
১.কোচবিহার সদর
২.দিনহাটা
৩.মাথাভাঙ্গা
৪.মেখলিগঞ্জ
৫.তুফানগঞ্জ

কোচবিহার জেলার ব্লক ও সদর দপ্তর :

ক্রমিক সংখ্যাব্লকসদর দপ্তর
১.কোচবিহার – Iধলুয়াবাড়ি
২.কোচবিহার – II পুন্ডিবাড়ি 
৩.দিনহাটা- Iদিনহাটা
৪.দিনহাটা- IIসাহেবগঞ্জ
৫.হলদিবাড়িহলদিবাড়ি
৬.মাথাভাঙ্গা – Iসিকারপুর
৭.মাথাভাঙ্গা – IIমাথাভাঙ্গা – II
৮.মেখলিগঞ্জচ্যাংরাবান্ধা
৯.সিতাইসিতাই
১০.শীতলকুচিশীতলকুচি
১১.তুফানগঞ্জ – Iতুফানগঞ্জ 
১২.তুফানগঞ্জ – II বাক্সিরহাট 

কোচবিহার জেলার  পৌরসভার নাম :

  • কোচবিহার
  • দিনহাটা
  • মাথাভাঙ্গা
  • মেখলিগঞ্জ
  • তুফানগঞ্জ
  • হলদিবাড়ি

কোচবিহার জেলার থানার নাম :

  • কোচবিহার (কোতোয়ালি)
  • দিনহাটা
  • সিতাই
  • মাথাভাঙ্গা
  • ঘোকসাডাঙ্গা
  • সিতালকুচি
  • মেখলিগঞ্জ (পি) ও কুচলিবাড়ি
  • মেখলিগঞ্জ (পি)
  • হলদিবাড়ি
  • তুফানগঞ্জ
  • বক্সিরহাট
  • পুন্ডিবাড়ি
  • সাইবার ক্রাইম থানা
  • সদর মহিলা থানা মো
  • দিনহাটার মহিলা পিএস মো

কোচবিহার জেলার কিছু   বিদ্যালয় গুলি হল : 

  • মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুল
  • রামভোলা হাইস্কুল
  • মহারানী ইন্দিরা দেবী বালিকা বিদ্যালয়
  • জামালদাহ তুলসী দেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • উচলপুকুরী কৃষক উদ্যোগ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

কোচবিহার জেলার কিছু  মহাবিদ্যালয় রয়েছে সেগুলি হল :

  • উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়
  • বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষন ও সান্ধ্য মহাবিদ্যালয়
  • এ.বি.এন. শীল কলেজ
  • ইউনিভার্সিটি বি. টি এন্ড ইভিনিং কলেজ
  • Coochbehar College (NAAC-B++)

কোচবিহার জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান :

  • রাজবাড়ী
  • জামালদাহ অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম
  • মদনমোহন মন্দির
  • সাগর দীঘি
  • শালবাগান
  • তিনবিঘা করিডোর প্রভৃতি।

কোচবিহার জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : কোচবিহার
  • প্রতিষ্ঠার বছর :  ১৯৪৯ সালে
  • আয়তন : ৮.১৯ বর্গকিমি (৩.১৬ বর্গমাইল)
  • জনসংখ্যা :  ৭৭,৯৩৫ [ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ]
  • সরকারী ভাষা : বাংলা, ইংরেজি রাজবংশী ভাষা।
  • প্রধান মহাসড়ক :  ১৬ HS (State highway) , ৩১এ , ৩১সি , ৩১ডি নং জাতীয় সড়ক
  • শিক্ষিত শতাংশ : ৮২% (পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭%) [২০১১ আদমশুমারি ]
  • প্রশাসনিক বিভাগ : জলপাইগুড়ি
  • প্রধান নদনদী : জলঢাকা নদী, তোর্শা নদী, কালজানি নদী, রায়ডাক নদী, গদাধর নদী, ঘড়ঘড়িয়া নদী, সিঙ্গিমারী নদী ও ইত্যাদি।
  • লোকসভা কেন্দ্র : কোচবিহার (এসসি) পিসি,আলিপুরদুয়ার (এসটি) পিসি ও জলপাইগুড়ি (এসসি) পি.সি
  • বিধানসভা কেন্দ্র : মেখলিগঞ্জ (এসসি), মাথাভাঙ্গা (এসসি),কোচবিহার উত্তর (এসসি), কোচবিহার দক্ষিণ , সিতালকুচি (এসসি), সিতাই (এসসি) , দিনহাটা ,নাটাবাড়ি ও তুফানগঞ্জ।
  • মহকুমা : কোচবিহার সদর, দিনহাটা , মাথাভাঙ্গা ,মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জ।

৪. দার্জিলিং :

দার্জিলিং জেলার অবস্থান হিমালয়ের পাদদেশে। এটি  পচিমবঙ্গের একটি  উত্তরের জেলা। দার্জিলিং জেলা মূলত হিল স্টেশন এবং দার্জিলিং চায়ের জন্য বিখ্যাত। দার্জিলিং শহরে  এই জেলার সদর দপ্তর । 

ভৌগলিকভাবে, এই জেলার উত্তরে সিকিম রাজ্য ও কালিম্পং ,পশ্চিমে নেপাল, দক্ষিণে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা রয়েছে। এছাড়াও, এই জেলার পূর্বে জলপাইগুড়ি জেলা এবং দক্ষিণ-পূর্বে বাংলাদেশ অবস্থিত।

দার্জিলিং জেলা পচিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি প্রসাশনিক বিভাগের অন্তর্গত। দার্জিলিং,কার্সিয়ং, শিলিগুড়ি এবং মিরিক  এই জেলার প্রধান শহর ও একই সাথে এই জেলার  মহকুমা। এই শহর গুলি  হলো এই চারটি  মহকুমার সদর দপ্তর।  সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান এই জেলায় অবস্থিত। 

এই জেলার মোট আয়তন ২,০৯৩ বর্গ কিমি। ১০ ,১১০ , ২৭,  ৩২৭ ও  ৩২৭বি  জাতীয় সড়ক, ১২ নং রাজ্য সড়ক, ১২এ  রাজ্য সড়ক এছাড়া এশীয় মহাসড়ক ২ এই জেলার  মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। দার্জিলিং জেলার সাক্ষরতার হার ৭৯.৯২%। 

দার্জিলিং জেলার মহকুমা ও ব্লক :

মহকুমাব্লক
দার্জিলিং (সদর) মহকুমাদার্জিলিং-পুলবাজার,রংলি-রংলিয়ট,জোড়বাংলো-সুকিয়াপোখরি
কার্শিয়াংমহকুমাকার্শিয়াং ব্লক
মিরিক মহকুমামিরিক
শিলিগুড়ি মহকুমামাটিগাড়া,নকশালবাড়ি,খড়িবাড়ী,ফাঁসিদেওয়া

দার্জিলিং জেলার  পৌরসভার নাম :

  • দার্জিলিং
  • মিরিক
  • কার্শিয়াং
  • শিলিগুড়ি 

দার্জিলিং জেলার থানার নাম :

  • দার্জিলিং (সদর)
  • পালবাজার
  • লোধামা
  • রঙ্গলি – রংলিওট
  • জোরেবাংলো
  • সুখিয়াপোখরিই
  • কার্সিওং
  • মিরিক
  • শিলিগুড়ি
  • মাটিগাড়া
  • বাগডোগরা
  • নকশালবাড়ি
  • খড়িবাড়ি
  • ফাঁসিদেওয়া

দার্জিলিং জেলার কিছু   বিদ্যালয় গুলি হল : 

দার্জিলিং জেলার কিছু  মহাবিদ্যালয় গুলি হল :

দার্জিলিং জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান :

দার্জিলিং জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : দার্জিলিং
  • প্রতিষ্ঠার বছর: 1947 সালে 
  • আয়তন:২,০৯৩ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: দার্জিলিং (সদর), কার্শিয়াং, মিরিক,ও শিলিগুড়ি 
  • জনসংখ্যা : ১,৫৯৫,১৮৩ জন। 
  • প্রধান মহাসড়ক : ১২ (NH)
  • বিধানসভা : দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি ও ফাঁসিদেওয়া। 
  • লোকসভা কেন্দ্র : দার্জিলিং (৪)
  • প্রশাসনিক বিভাগ : জলপাইগুড়ি 
  • প্রধান নদনদী : মহানন্দা নদী, তিস্তা নদী, মেচি নদী, বালাসন নদী, রঙেত নদী , লোধমা নদী, রিয়াং নদী ,ফুলেশ্বরী নদী

৫. কালিম্পং :

২০১৭ সালে কালিম্পং মহকুমা কে দার্জিলিং জেলা থেকে পৃথক করে কালিম্পং জেলা গঠন করা হয়। এই জেলার সদর দপ্তরটি হল কালিম্পং । কালিম্পং জেলা পশ্চিমবঙ্গে  জলপাইগুড়ি বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা । ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই জেলার মোট জনসংখ্যা ২,৫১৬৪২ জন।  প্রশাসনিকভাবে কালিম্পং-১, কালিম্পং-২ এবং গোরুবাথান ব্লক এবং কালিম্পং পৌরসভা নিয়ে এই জেলা গঠিত।  এই জেলার আয়তন  ১,০৫৬.৫ বর্গ কিলোমিটার।

ভৌগোলিক ভাবে  কালিম্পং জেলার উত্তরে রয়েছে সিকিম রাজ্য, উত্তর পূর্বে ভুটান দেশ , দক্ষিণে জলপাইগুড়ি ও পশ্চিমে দার্জিলিং জেলার অবস্থান।  নেপালি, তিব্বতি, ভূটিয়া, শেরপা লেপচা ও  কিরান্তি এই জেলার আঞ্চলিক ভাষা। নেপালি, বাংলা ও ইংরেজি এই জেলার সরকারি ভাষা।রংপো,রংবং, তিস্তা, ঋষিখোলা, রঙ্গো, জলঢাকা ও প্রভৃতি এই জেলার প্রধান কিছু নদী। 

৬. উত্তর দিনাজপুর জেলা 

উত্তর দিনাজপুর জেলা মালদা বিভাগের একটি জেলা । এই জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা। 1 এপ্রিল 1992 সালে তৈরি করা হয়েছিল। এটি দুটি মহকুমা নিয়ে গঠিত: রায়গঞ্জ এবং ইসলামপুর। রায়গঞ্জ শহর এই জেলার সদর দফতর এবং এই জেলায় 9টি থানা রয়েছে। 

রায়গঞ্জ মহকুমায় রয়েছে রায়গঞ্জ পৌরসভা ও  কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। এছাড়া রায়গঞ্জ মহকুমায় হেমতাবাদ, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ এবং রায়গঞ্জ চারটি সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।

ইসলামপুর মহকুমা ইসলামপুর এবং ডালখোলা পৌরসভা এবং চোপড়া, গোয়ালপোখর-১, গোয়ালপোখর-২, ইসলামপুর এবং করণদিঘি নামে পাঁচটি সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত।

ভৌগোলিক ভাবে এই জেলার উত্তরে দার্জিলিং জেলা ও দক্ষিণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পূর্বে বাংলাদেশের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুর জেলা, পশ্চিমে বিহারের কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া ও কাটিহার জেলা,এবং দক্ষিণে মালদা জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা দ্বারা ঘেরা।

উত্তর দিনাজপুর জেলা রাজ্য সড়ক ,জাতীয় মহাসড়ক, এবং রেলপথের মাধ্যমে রাজ্যের ও দেশের  বাকি অংশের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত। NH-31 এবং NH-34 জেলার মধ্য দিয়ে গিয়াছে। 

কুলিক, নগর, বালাকর, শ্রীমতী, মহানন্দার ও ইত্যাদি  এই জেলার কিছু প্রধান নদী। উত্তর দিনাজপুর জেলায়  4টি পৌরসভা, 9টি ব্লক এবং 99টি পঞ্চায়েত রয়েছে। মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩,০০০,৮৪৯ জন এর মধ্যে পুরুষ জনসংখ্যা প্রায় ১,৫৫০২১৯ জন এবং মহিলা জনসংখ্যা প্রায় ১,৪৫০.৬৩০ জন।এই জেলার গড় সাক্ষরতার হার ৬০.১৩%।

এই জেলা প্রধানত গ্রামীণ জনসাধারণ নিয়ে গঠিত। বাংলা হল প্রধান ভাষা কিন্তু ইসলামপুর মহকুমায় উর্দু, হিন্দি এবং মৈথিলিভাষী লোকদের একটি বড় সংখ্যা বাস করে।

উত্তর দিনাজপুর জেলার মহকুমা ও ব্লক :

মহকুমাব্লক
রায়গঞ্জ মহকুমাহেমতাবাদ ইটাহারকালিয়াগঞ্জরায়গঞ্জ
ইসলামপুর মহকুমাগোয়ালপোখর-১গোয়ালপোখর- ২ইসলামপুরকরণদিঘিচোপড়া

উত্তর দিনাজপুর জেলার  পৌরসভার নাম :

  • রায়গঞ্জ পৌরসভা ( রায়গঞ্জ মহকুমা )
  • কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ( রায়গঞ্জ মহকুমা )
  • ইসলামপুর পৌরসভা ( ইসলামপুর মহকুমা )
  • ডালখোলা পৌরসভা ( ইসলামপুর মহকুমা )

উত্তর দিনাজপুর জেলার থানার নাম :

উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু  বিদ্যালয় নাম :

উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু  মহাবিদ্যালয় নাম :

  • ড :মেঘনাদ সাহা   মহাবিদ্যালয়
  • ইসলামপুর মহাবিদ্যালয়
  • কালিয়াগঞ্জ মহাবিদ্যালয়
  •  রায়গঞ্জ মহাবিদ্যালয়
  •  রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়
  • শ্রী অগ্রসেন মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি।

উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান :

উত্তর দিনাজপুর জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

৭. দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা :

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাগের সময় বালুরঘাট, রায়গঞ্জ ও গঙ্গারামপুর মহকুমা ভারতের সাথে যুক্ত হয়ে পশ্চিম দিনাজপুর জেলা গঠন করে। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মহকুমাদ্বয় নিয়ে নতুন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠিত হয় ৷ বর্তমান সময় এই জেলাটি মালদা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। 

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মোট আয়তন ২২১৯ বর্গকিলোমিটার। এই জেলাতে ২ টি মহকুমা , ৮ টি ব্লক , ৬৫ টি গ্রামে পঞ্চায়েত ও ৮ টি থানা রয়েছে। এছাড়াও এই জেলাতে বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর পৌরসভা রয়েছে। 

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই জেলার মোট জনসংখ্যা ১৬,৭০,৯৩১ জন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শিক্ষার হার ৭৩.৮৬%। 

NH 512  এই জেলার প্রধান জাতীয় মহাসড়ক। টাঙ্গন, আত্রাই, যমুনা, শ্রী ও পুনর্বাবা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রধান নদী। 

ভৌগলিকভাবে, বাংলাদেশের দিনাজপুর বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এছাড়া পশ্চিম ও দক্ষিণে মালদহ জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে উত্তর দিনাজপুর জেলা রয়েছে।

৮. মালদহ জেলা

মালদা ও চাঁচল মহকুমা ১৭ ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মালদা জেলা গঠিত হয় । ইংলিশ বাজার এই জেলার সদর দপ্তর।

মালদা জেলার আয়তন ৩,৭৩৩ বর্গ কিলোমিটার (১,৪৪১ বর্গমাইল) । এই জেলার উত্তরে অবস্থান রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা ,দক্ষিণে মুর্শিদাবাদ জেলা ,পূর্বদিকে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমে অবস্থান করছে ঝাড়খণ্ড। এই জেলার মহানন্দা নদী তীরে মালদহ ও ইংরেজ বাজার পৌরসভাদ্বয় অবস্থিত। এছাড়া গঙ্গা নদী ,পাগলা নদী , বড়মসিয়া নদী, ফুলহার নদ, তিলজলা নদী, চিন্তামণি নদী, কালিন্দী নদী, টাঙ্গন নদী, পুনর্ভবা নদী, ভাগীরথী নদী, হরিয়া নদী,বেহুলা নদী প্রধান নদ নদী।

২০১১ সালে আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা ২৯,৮৮,৮৪৫জন। সাক্ষরতা ৬১.৭৩%। মালদা জেলার প্রধান মহাসড়ক ৩৪ নং জাতীয় সড়ক ৮১ নং জাতীয় সড়ক। ইংরেজবাজার পৌরসভা এবং পুরাতন মালদা পৌরসভা এই দুটি পৌরসভা রয়েছে।

মালদা জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :

  • প্রমীলা বালা হাই স্কুল
  • মালদা জেলা হাই স্কুল( স্থাপিত ১৮৫৮ সালে)
  • সূর্যাপুর হাইস্কুল (গাবুরা)
  • মিলকী হাইস্কুল
  • পুরাতন মালদা কালাচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়
  • নঘরিয়া হাই স্কুল
  • রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির
  • মালদা টাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

পর্যটক ও দর্শনীয় স্থান :

  • কুলিক পাখিরালয়
  • আদিনা মসজিদ পান্ডুয়া
  • একলাখী সমাধি
  • ফিরোজ মিনার বোর্ড
  • রামকেলি অষ্ট কুন্ডু
  • বড় সোনা মসজিদ
  • দাখিল দরবাজা
  • মা যহুরা মন্দির
  • কদম রসুল মসজিদ
  • মালদাহ জেলার সংগ্রহশালা
  • চামকাটি মসজিদ।

মালদা জেলার ধর্মীয় উৎসব :

  • দুর্গাপূজা
  • কালী পূজা
  • রথযাত্রার
  • শিবরাত্রি
  • ঈদ-উল-ফিতর
  • ঈদুল আজহা
  • গুরুর নানক জয়ন্তী
  • বড়দিন

মালদহ জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : ইংলিশ বাজার
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ১৯৪৭সালে ।
  • আয়তন: ৩,৭৩৩ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা:
  • জনসংখ্যা :১,১০০ বগকিমি
  • প্রধান মহাসড়ক : ৩৪ নং সড়ক ৮১ নং জাতীয় সড়ক
  • বিধানসভা : হাবিরপুর ,গাজোল চাঁচোল ,হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়া, মানিকচক, মালদহ, ইংলিশ বাজার ,মোথাবাড়ি ,সুজাপুর ,বৈষ্ণ নগর ।
  • লোকসভা কেন্দ্র: মালদা উত্তর ,মালদা দক্ষিণ ।
  • প্রশাসনিক বিভাগ : মালদা
  • প্রধান নদনদী : পাগলা নদী ,মহানন্দা নদী ,ফুলহার নদ, গঙ্গা ,বড়মমসিয়া, তিলজলা, কালিন্দী, চিন্তামণি, টাঙ্গান, পূর্ণ ভবা, হরিয়া, ভাগরথী, বেহুলা ।

৯. মুর্শিদাবাদ :

মুর্শিদাবাদ জেলার উত্তরে মালদা ও বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা, উত্তর পূর্বে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা, দক্ষিণে নদীয়া , দক্ষিণ পশ্চিমে পূর্ব বর্ধমান , পশ্চিমে বীরভূম জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে ঝাড়খন্ড ও বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত।

মুর্শিদাবাদ জেলা মালদা বিভাগের অন্তর্গত। বহরমপুর ,ডোমকল ,লালবাগ, কান্দি ,জঙ্গিপুর এই পাঁচটি মহকুমার নিয়ে গঠিত হয়েছে ।
মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে ৮টি পৌরসভা ও ২৬ টি ব্লক রয়েছে । ভাগীরথী নদী জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে । এই নদীর পশ্চিমে রার অঞ্চল ও পূর্বের অংশ বর্গীয় অঞ্চল নামে পরিচিত ।

এই জেলার আয়তন ৫,৩২৪ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদামশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা ৭১,০৩,৮০৭ জন । মুর্শিদাবাদ জেলার সাক্ষরতার হার ৬৬.৫৯% ।

মুর্শিদাবাদ  জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :

  • রামগড় হাই স্কুল মাদ্রাসা(উ.মা), রামগড় ডি. কে মুর্শিদাবাদ।
  • রানী গড় উচ্চতর বিদ্যালয় রানীগড় মুর্শিদাবাদ।
  • হুদা হেরামপুর হাই স্কুল ইসলামপুর।
  • নবাব বাহাদুর’ স ইনস্টিটিউশন ,লালবাগ , মুর্শিদাবাদ
  • কৃষ্ণ নাথ কলেজ স্কুল, বহরমপুর।
  • মাঝেরপাড়া কুমারিশচন্দ্র হাই স্কুল ,বহরমপুর ,মুর্শিদাবাদ ।
  • কামর দরিয়াড় নজরুল হক হাই মাদ্রাসা (কামর দিয়ার মোমিনপুর মুর্শিদাবাদ)
  • নিমতিত গৌড় সুন্দর দ্বারকানাথ বিদ্যানিকেতন ,নিমতিতা ।
  • অর্জুনপুর উচ্চ বিদ্যালয় (উ.মা) অর্জুনপুর ,ফারাক্কা ,মুর্শিদাবাদ।
  • জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দির (হাই স্কুল পাড়া, পোঃ জিয়াগঞ্জ জিঃ মুর্শিদাবাদ)
  • গোয়াল জান রিফিউজি হাই স্কুল( এনচ এস),পোঃ গোয়াজান ,ছিঃ মুর্শিদাবাদ
  • নতুনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় (লালবাগ ,নতুন গ্রাম)
  • মহলা ন্দী জি .সি .হাই স্কুল।
  • নবপল্লী জে. সি. এস হাই স্কুল (উঃমা) গাঁতলা কান্দি, মুর্শিদাবাদ।
  • দেবপুর হাই স্কুল (উঃমাঃ) গ্রাম পোঃ দেবপুর থানা ,বেলডাঙা ,মুর্শিদাবাদ।
  • বেলডাঙ্গা সি আর জি এস উচ্চ বিদ্যালয় ,বেলডাঙ্গা।
  • বেলডাঙ্গা হরিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় বেলডাঙ্গা।
  • দেবকুন্ডু হাই মাদ্রাসা বেলডাঙ্গা।
  • দেবকুন্ডু শেখ আব্দুল রাজ্জাক মেমোরিয়াল গার্লস হাই মাদ্রাসা বেলডাঙ্গা।
  • হরিপুর হাই স্কুল।

মুর্শিদাবাদ জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : বহরমপুর
  • প্রতিষ্ঠার বছর:
  • আয়তন: ৫,৩২৪ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: বহরমপুর ,ডোমকল ,লালবাগ ,কান্দি ,জঙ্গিপুর,
  • জনসংখ্যা : ৭১,০৩,৮০৭
  • প্রধান মহাসড়ক :
  • বিধানসভা :
  • লোকসভা কেন্দ্র: জঙ্গিপুর ,বহরমপুর ,মুর্শিদাবাদ
  • প্রশাসনিক বিভাগ : ফারাক্কা ,শামসের গঞ্জ ,সুতি ,জঙ্গিপুর ,রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘী ,লালগোলা, ভগবানগোলা রানীনগর, মুর্শিদাবাদ ,নবগ্রাম, খড় গ্রাম, বারোয়ান, কান্দি ,ভারতপুর ,বেলেডাঙ্গা, বহরমপুর ,হরিহরপাড়া, নওদা ,ডোমকল ,জলঙ্গি, রেজিনগর ।
  • প্রধান নদনদী : গঙ্গা ,পদ্মার ,ভাগীরথী ,দারোকা নদ ,ময়ূরক্ষী ,জলঙ্গি ,ভৈরব ,সুতি, শিয়ালমারী।

১০. কলকাতা :

কলকাতা জেলা হুগলি নদীর পূর্বদিকে অবস্থিত। প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা ।এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে উত্তর ২৪ পরগনা পশ্চিমে, হাওড়া এবং দক্ষিণের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত।

এই জেলার আয়তন ০৬.৮ বর্গ কিলোমিটার । ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে কলকাতা জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪ জন। বড়বাজার ,চিতপুর রোড ,বাগবাজার ,বেলগাছিয়া ,শ্যামবাজার ,বরানগর ,শোভাবাজার, মানিকতলা ,জোড়াসাঁকো ও কলেজ স্টিট প্রভৃতি অঞ্চল নিয়ে উত্তর কলকাতা।

দক্ষিণ কলকাতা – বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, ভবানীপুর ,আলিপুর, চেতলা, নিউ আলিপুর ,রাসবিহারী ,কালীঘাট, কসবা ,যাদবপুর, টালিগঞ্জ ,বেহালা পাক স্টিট, পাকসারকাস বোসপুকুর ঢাকুরিয়া তারাতলা।

কলকাতা জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : কলকাতা
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ১৮৭৬
  • আয়তন: ১,৮৮৬ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: কোন মহকুমার নেই
  • জনসংখ্যা : (২০১১) ৪,৪৯৬,৬৯৪জন ।
  • প্রধান মহাসড়ক :
  • বিধানসভা : চৌড়াঙ্গী
  • লোকসভা কেন্দ্র: কলকাতা উত্তর
  • প্রশাসনিক বিভাগ : প্রেসিডেন্সি
  • প্রধান নদনদী : বুড়ি গঙ্গা ও হুগলি নদী।

১১. উত্তর চব্বিশ পরগনা :

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশভাগের সময় যশোর জেলার বনগাঁ, বাগদা ও গাইঘাটা অঞ্চল এই জেলার সাথে যুক্ত করে স্বাধীন ভারতের ২৪ পরগণা জেলা গঠিত হয় ৷ ডাঃ অশোক মিত্রের প্রস্তাবনাতে ১৯৮৬ সালের ১লা মার্চ জেলাটির উত্তর অংশ ও বিধাননগর নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা গঠন করা হয় ৷ উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা ভারত এর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় একটি জেলা।

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার প্রশাসনিক ভবন ও সদর দপ্তর বারাসাত শহরে অবস্থিত ৷ বারাকপুর,বারাসাত, বনগাঁ, বসিরহাট, বিধাননগর এই পাঁচটি মহকুমা নিয়ে এই জেলা গঠিত। উত্তর ২৪পরগনা পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। বাংলা এই জেলার প্রধান ভাষা এছাড়াও হিন্দী ও উর্দু ভাষা প্রচলন আছে ।

ভৌগলিকভাবে দেখলে এই জেলার পূর্বে বাংলাদেশ, উত্তরে নদিয়া দক্ষিণে কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পচ্ছিমে হুগলি নদীর অবস্থান।

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : বারাসাত
  • প্রতিষ্ঠার বছর : ১৯৮৬ সালের ১লা মার্চ
  • আয়তন: ৪,০৯৪ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: বারাসাত ,বনগাঁ, বসিরহাট ,বিধাননগর ,বারাকপুর
  • জনসংখ্যা : ১,০০,০৯,৭৮১জন।
  • প্রধান মহাসড়ক : এন এইচ ১২ এন এইচ ১১২
  • বিধানসভা : দমদম ,রাজারহাট ,নিউটাউন ,বরানগর ,রাজারহাট ,গোপালপুর ,মধ্যমগ্রাম ,বারাসাত ,দে গঙ্গা, মিনাখা ,সন্দেশখালি ,বসিরহাট দক্ষিণ ,বসিরহাট উত্তর ,হিঙ্গলগঞ্জ।
  • লোকসভা: বনগাঁ ,ব্যারাকপুর ,দমদম ,বারাসাত ,বসিরহাট।
  • প্রশাসনিক বিভাগ: প্রেসিডেন্সি
  • প্রধান নদনদী : ইছামতি, বেতনা, কপোতাখ,কোদালিয়া, যমুনা, হুগলী, সোনাই,নোয়াই, খাল, বিদ্যাধরী, পদ্মা, চৈতা, চালুন্দিয়া,নাউভাঙা, ধানশা, বড় কলাগাছি, ছোট কলাগাছটি, রায় মঙ্গল, ঝিল্লা, হাড়িয়া ভাঙ্গা, কা কাঠাখালি ,সোনাই নদী।

১২. দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : আলিপুর।
  • প্রতিষ্ঠার বছর : ১ই মার্চ ১৯৮০সালে ।
  • আয়তন: ৯,৯৬০ বর্গ কিলোমিটার।
  • মহাকুমা: আলিপুর বারুইপুর ডায়মন্ড হাবরা ক্যানিং ও কাকদ্বীপ।
  • জনসংখ্যা : ৮১,৬১,৯৬১
  • প্রধান মহাসড়ক : ১২ নং জাতীয় সড়ক ১ নং রাজ্য সড়ক ৩ নং রাজ্য সড়ক।
  • বিধানসভা : গোসাবা ,বাসন্তী ,কুলতলী ,পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ ,সাগর, কুন্তী, রায়দিঘি ,মন্দির বাজার ,জয়নগর ,বারুইপুর পূর্ব ,ক্যানিং পশ্চিম ,ক্যানিং পূর্ব ,বারুইপুর পশ্চিম, মগরা হাট পূর্ব ,মগরাহাট পশ্চিম ,ডায়মন্ড হাবরা ,ফলতা ,সাঁতরাগাছি, বিষ্ণুপুর ,সোনারপুর দক্ষিণ ,ভাঙ্গড় ,সোনারপুর উত্তর ,বেহালা পূর্ব ,মহেশতলা, বজ বজ ,মেটিয়াব্রুজ, যাদবপুর ,টালিগঞ্জ ,কসবা ,বেহালা পশ্চিম।
  • লোকসভা কেন্দ্র: জয়নগর ,মথুরাপুর ,ডায়মন্ড হাবরা ,যাদবপুর ,কলকাতা দক্ষিণ।
  • প্রশাসনিক বিভাগ : প্রেসিডেন্সি।
  • প্রধান নদনদী : বিদ্যাধরী ,পিয়ালী ,মাতলা, ইছামতি ও যমুনা প্রধান নদী।

১৩. নদিয়া :

নদিয়া জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : কৃষ্ণনগর
  • প্রতিষ্ঠার বছর:
  • আয়তন: ৩,৯২৭ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপ
  • জনসংখ্যা : (২০১১)৫১,৬৮,৪৮৮জন।
  • প্রধান মহাসড়ক : জাতীয় সড়ক ৩৪ নং
  • বিধানসভা : ১৭টি
  • লোকসভা কেন্দ্র: ২টি
  • প্রশাসনিক বিভাগ : প্রেসিডেন্সিভ বিভাগ
  • প্রধান নদনদী : ভাগীরথী, জলঙ্গি ভৈরব চুনি, মাথাভাঙ্গা ও ইছামতি।

১৪. হাওড়া :

হাওড়া জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : হাওড়া
  • প্রতিষ্ঠার বছর:
  • আয়তন: ১,৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: হাওড়া
  • জনসংখ্যা : ৪৮,৫০,০২৯জন।
  • প্রধান মহাসড়ক : ১৬ নং জাতীয় সড়ক ২ নং জাতীয় সড়ক।
  • বিধানসভা : বালি, হাওড়া উত্তর ,হাওড়া মধ্য, শিবপুর ,হাওড়া দক্ষিণ, সাঁকরাইল, পাঁচলা ,কুলবেড়িয়া পূর্ব, উলবেড়িয়া উত্তর, উলবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান ,আমতা ,উদয়নারায়ণ পুর ,জগতবল্লভপুর ,ডোমজুড়।
  • লোকসভা কেন্দ্র: হাওড়া উলবেরিয়া শ্রীরামপুর
  • প্রশাসনিক বিভাগ : প্রেসিডেন্সি বিভাগ
  • প্রধান নদনদী : দামোদর, হুগলি, রুপনারায়ণ ইত্যাদি।

১৫. পূর্ব বর্ধমান :

পূর্ব বর্ধমান জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : বর্ধমান
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ২০১৭সালে।
  • আয়তন: ৫,৪২১ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: বর্ধমান সদর, বর্ধমান দক্ষিণ মেমারি, কালনা, কাটোয়া ,পূর্ব বর্ধমান।
  • জনসংখ্যা : (২০১১)৪৮,৩৫,৫৩২জন
  • প্রধান মহাসড়ক :
  • বিধানসভা :
  • লোকসভা কেন্দ্র:
  • প্রশাসনিক বিভাগ : বর্ধমান
  • প্রধান নদনদী : অজয় নদ, খড়ি ,ইছামতি।

১৬. পশ্চিম বর্ধমান :

পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : আসানসোল
  • প্রতিষ্ঠার বছর: 
  • আয়তন: ১,৬০৩ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: দুর্গাপুর ,আসানসোল
  • জনসংখ্যা :(২০১১)২৮,৮২,০৩১জন। 
  • প্রধান মহাসড়ক : ৩ জাতীয়  সড়ক,  গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড  ৬০ নং জাতীয় সড়ক।
  • বিধানসভা : পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ ,জামুরিয়া ,আসানসোল উত্তর ,আসানসোল দক্ষিণ, কুলটি ,মন্তেশ্বর ,ভাতার ,গলসি,দুর্গাপুর পূর্ব ,দুর্গাপুর পশ্চিম।
  • লোকসভা কেন্দ্র:  আসানসোল ,বর্ধমান -দুর্গাপুর
  • প্রশাসনিক বিভাগ : বর্ধমান
  • প্রধান নদনদী : দামোদর ,ভাগীরথী ,অজয়, সিঙ্গারাম ,কুকুয়া ,কনুর তুমুনি, চন্দ্রকান্তি নালা,বেহুলা ,গাঙ্গুর ,ব্রাহ্মণী, খন্দেশ্বরী ,কুরুলিয়া নালা, দারোকা বা বলাকা,কইয়া নালা, কন্দার কাহার,কানাদামোদর,কানানদী,ঘিয়া, কাকিনদী ।

১৭. পূর্ব মেদিনীপুর :

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : তমলুক
  • প্রতিষ্ঠার বছর:
  • আয়তন: ৪,৭৩৬ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা:
  • জনসংখ্যা :৫,৫০,০০০ জন।
  • প্রধান মহাসড়ক :এনএইচ১৬,এনএইচ১১৬,এনএইচ১১৬বি ।
  • বিধানসভা : তমলুক , পাশকুরা পূব, পাশকুরা, নন্দকুমার, ময়না , হলদিয়া, মহিষাদল ,পটাশপুর ,কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ ,রামনগর,এগরা ।
  • লোকসভা কেন্দ্র: কাঁথি, থামলুক ,ঘাটাল ,মেদিনীপুর।
  • প্রশাসনিক বিভাগ : মেদিনীপুর
  • প্রধান নদনদী :

১৮. পশ্চিম মেদিনীপুর :

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : মেদিনীপুর
  • প্রতিষ্ঠার বছর:
  • আয়তন: ৬,৩০৮ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: খড়গপুর ,মেদিনীপুর ,ঘাটাল ।
  • জনসংখ্যা : ৫৯,৪৩,৩০০জন
  • বিভাগ : মেদিনীপুর
  • প্রধান নদনদী : রূপনারায়ণ নদ ,শিলাই ,কুলবাই ,তমাল ও পারাং ।
  • লোকসভা কেন্দ্র: মেদিনীপুর ,ঘাটাল ,ঝারগ্রাম।
  • বিধানসভা কেন্দ্র: দাঁতন, কেশিয়ারি , খড়গপুর সদর ,নারায়ণগড় ,সবং, পিংলা ,খড়গপুর ,ডেবরা ,দাসপুর ,ঘাটাল ,চন্দ্রকোনা ,গড়বেতা ,শালবনী ,কেশপুর ,মেদিনীপুর।

১৯. ঝাড়গ্রাম :

ঝাড়গ্রাম জেলা বন পাহাড়ি বনভূমি সৌন্দর্য এবং বেলপাহাড়ি পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার উত্তরে কাকরাঝোড় এবং দক্ষিণের সুবর্ণরেখা নদী আছে।

২০১৭সালের ৪এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ঝাড়গ্রাম মহকুমার কে নিয়ে গঠিত হয়েছে এটি পশ্চিমবঙ্গের ২৩ তম জেলা ।এই জেলার সদর দপ্তর ঝাড়গ্রাম অবস্থিত।
এই জেলার আয়তন ৩,০২৪.৩৮ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা ১১,৩৭,১৬৩ জন । সাক্ষরতার হার ৭০.৯২%

ঝাড়গ্রাম জেলার ১০টি থানা ৮ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি ৭৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২,৯৯৬টি মৌজা, ২৫১৩টি গ্রাম ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

ঝাড়গ্রাম জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : ঝাড়গ্রাম
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ২০১৭
  • আয়তন: ৩,০২৪.৩৮
  • মহাকুমা: ঝাড়গ্রাম
  • জনসংখ্যা : ১১,৩৭,১৬৩
  • প্রধান মহাসড়ক : ৬ নং জাতীয় সড়ক ৫ নং রাজ্য সড়ক নয় নং জাতীয় সড়ক
  • বিধানসভা : ঝাড়গ্রাম,গোপীবল্লভপুর ,নয়াগ্রাম ,বিনপুর ।
  • লোকসভা কেন্দ্র: ঝাড়গ্রাম
  • প্রশাসনিক বিভাগ : মেদিনীপুর
  • প্রধান নদনদী :

২০. বাঁকুড়া :

বাঁকুড়া জেলা মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত পাঁচটি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে উত্তর-পূর্ব ,পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণের পশ্চিম মেদিনীপুর দক্ষিণ- পূর্ব হুগলি এবং পশ্চিম পুরুলিয়ার অবস্থান । দামোদার নদ বাঁকুড়া ও বর্ধমান দুটি জেলাকে আলাদা করেছে।  এই জেলার পূর্বে অংশ বঙ্গীয় সমভূমি নামে পরিচিত । পশ্চিম দিকের অংশ ছোটনাগপুর মালভূমি নামে পরিচিত 

বাঁকুড়া জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : বাঁকুড়া
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ১৮৮১সালে
  • আয়তন: ৬,৮৮২ বর্গকিলোমিটার
  • মহাকুমা: বাঁকুড়া ,খাতড়া, বিষ্ণুপুর ,বাঁকুড়া জেলা ।
  • জনসংখ্যা : ৩৫,৯৬,২৯২জন
  • প্রধান মহাসড়ক : ৬০নং জাতীয় সড়ক ।
  • বিধানসভা : শালতোড়া, ছাতনা ,রানিবাঁধ ,রায়পুর ,তালডাংরা, বাঁকুড, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর ,কোতুলপুর ,ইন্দাস ,সোনামুখী।
  • লোকসভা কেন্দ্র: বাঁকুড়া ,বিষ্ণুপুর ।
  • প্রশাসনিক বিভাগ : মেদিনীপুর
  • প্রধান নদনদী :

২১. হুগলি :

হুগলি জেলা হল পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান প্রশাসনিক বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার সদর দপ্তর চুঁচুড়া শহরে। হুগলি জেলা চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর এবং আরামবাগ নামে চারটি মহকুমা নিয়ে গঠিত।

হুগলি জেলার আয়তন ৩১৪৯ বর্গ কিমি। এই জেলাটি 4টি মহকুমা, 18টি ব্লক, 207টি গ্রাম পঞ্চায়েত, 1টি কর্পোরেশন এবং 12টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। হুগলি জেলার অন্যতম প্রধান নদীর নামানুসারে হুগলি জেলার নামকরণ করা হয়েছে।

এই জেলার পূর্বে উত্তর চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলা, দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওর জেলা, উত্তরে পূর্ব বর্ধমান জেলা এবং উত্তর পশ্চিমে বাঁকুড়া জেলার অবস্থান ।

হুগলি জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : চুঁচুড়া
  • প্রতিষ্ঠার বছর:
  • আয়তন:
  • মহাকুমা:
  • জনসংখ্যা :
  • প্রধান মহাসড় :এনএইচ২, এনএইচ ৬ ,গ্রান্ড ট্রাক রোড।
  • বিধানসভা : হরিপাল, তারকেশ্বর ,পুরশুড়া ,আরামবাগ, খানাকুল সিঙ্গুর, চন্দননগর ,চুঁচুড়া, বলাগড় ,পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি, উত্তর পাড়া, শ্রীরামপুর, চন্ডীতলা ,জাঙ্গিপাড়া।
  • লোকসভা কেন্দ্র: আরামবাগ হুগলি শ্রীরামপুর।
  • প্রশাসনিক বিভাগ : বর্ধমান
  • প্রধান নদনদী :

২২. বীরভূম :

বীরভূম জেলা বধর্মান প্রসাশনিক বিভাগের অন্তর্গত ২ বৃহত্তম জেলা। এই জেলায় সিউড়ি সদর, বোলপুর ও রামপুরহাট এই তিনটি মহকুমার নিয়ে গঠিত। এই জেলার মোট আয়তন ৪,৫৪৫ বর্গকিমি।

বীরভূম জেলাটি 23° 32′ 30″ এবং 24° 35′ 0″ উত্তর অক্ষাংশ এবং 88° 1′ 40″ এবং 87° 5′ 25″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এই জেলাটি দেখতে একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের মতো। বীরভূম জেলাটির পূর্ব দিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পশ্চিমে ঝাড়খন্ড রাজ্য ও দক্ষিণে পূর্ব বর্ধমান জেলা এবং পশ্চিমে বর্ধমান জেলায় অবস্থিত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই জেলার জনসংখ্যা৩,৫০২,৪০৪জন।

বীরভূম জেলায় দুটি মহিলা থানা একটি সাইবার থানা তাছাড়া মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো তিনটি থানা তৈরি করেছে মোট ২৭টি থানা ।১৯ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ৬টি পৌরসভা ও ১৬৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।

বীরভূম জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : সিউড়ি
  • প্রতিষ্ঠার বছর: 
  • আয়তন: ৪,৫৪৫ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: সিউড়ি ,বোলপুর ও রামপুরা হাট।
  • জনসংখ্যা : ৩৫,০২,৪০৪জন।
  • প্রধান মহাসড়ক : জাতীয় সড়ক ১৪ ,জাতীয় সড়ক ১১৪ জাতীয় ,সড়ক ১১৪ এ।
  • বিধানসভা : সাঁথিয়া ,সুরি, বোলপুর, নালহাটি ,দুবরাজপুর ,ময়ূরেশ্বর ,মুরারই ,নানুর হানসান ।
  • লোকসভা কেন্দ্র:  বীরভূম ,বোলপুর।
  • প্রশাসনিক বিভাগ : বর্ধমান
  • প্রধান নদনদী : ব্রাহ্মণী ,অজয় হিংলো ,কোপাই , দ্বারকা ,বক্রেশ্ব ও ময়ূরাক্ষী।

২৩. পুরুলিয়া :

রাজ্য পুনর্গঠন আইন ও বাংলা ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৫৬ সালে বিহারের মহকুমাটি পুরুলিয়া জেলা নামে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমান পুরুলিয়া জেলা ১লা নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করে।ভৌগলিকভাবে, এই জেলার পূর্ব সীমান্তে বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা ও উত্তর পূর্বে পচিম বর্ধমান জেলা। অপর তিন দিক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সারাইকেলা খার্সাওয়ান, পূর্ব সিংভূম, বোকারো, রামগড় ও রাঁচি জেলা দ্বারা বেষ্টিত।

সাঁওতাল, কুুড়মি, ওঁরাং, ভূমিজ, বাউরি সহ নানা সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা মূলত এই জেলার মূল নিবাসী। এছাড়াও বাঙালিরা ও বসবাস করে। পুরুলিয়া জেলা পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ জেলা। পুরুলিয়া সদর, রঘুনাথপুর , মানবাজার ও ঝালদা এই চারটি মহকুমা নিয়ে পুরুলিয়া জেলা গঠিত। পুরুলিয়া পৌরসভা, ঝালদা পৌরসভা ও রঘুনাথপুর পৌরসভা এবং ২০টি উন্নায়ন ব্লক এই জেলাতে রয়েছে। ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ৩ টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা এই জেলাতে রয়েছে।

কংসাবতী, দামোদর, সুবর্ণরেখা, কুমারী ইত্যাদি পুরুলিয়া জেলার উল্লেখযোগ্য নদ নদী। এছাড়াও দ্বারকেশ্বর নদ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষে প্রবাহিত হয়েছে। ২০১১ জনগণনা অনুসারে পুরুলিয়া জেলার জনসংখ্যা ২৯,২৭,৯৬৫ জন । বাংলা (৮০.৫৬%) ভাষা এই জেলার প্রধান ভাষা এছাড়াও কুড়মালি (৫.০৪%) ,সাঁওতালি (১১.১৭%), হিন্দী (২.০৩%) ও অন্যান্য (১.২০%) । টুসু উৎসব, ভাদু উৎসব ও করম পরব প্রধান উৎসব। দুর্গাপূজা এই জেলার একটি অন্যতম উৎসব।

পুরুলিয়া জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য :

  • সদর দপ্তর : পুরুলিয়া
  • প্রতিষ্ঠার বছর: ১৯৫৬ সাল
  • আয়তন: ৬২৫৯ বর্গ কিলোমিটার
  • মহাকুমা: পুরুলিয়া ,ঝালদা ও রঘুনাথপুর।
  • জনসংখ্যা : (২০০১) ২৫,৩৬,৫১৬
  • প্রধান মহাসড়ক :
  • বিধানসভা : বলরামপুর ,বান্দোয়ান, পাড়া, রঘুনাথপুর ,কাশিপুর, গুড়া ,মানবাজার ,ঝালদা, জয়পুর ,পুরুলিয়া।
  • লোকসভা কেন্দ্র:  
  • প্রশাসনিক বিভাগ : মেদিনীপুর 
  • প্রধান নদনদী : কংসাবতী  ,দামোদর ,সুবর্ণরেখা ,কুমারী ইত্যাদি।

FAQ :

পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার নাম কি কি?

পশ্চিমবঙ্গের জেলা

পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার নাম গুলি হল : 
কলকাতা
উত্তর ২৪ পরগনা 
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
হাওড়া
নদিয়া
পূর্ব বর্ধমান
পশ্চিম বর্ধমান
হুগলি
বাঁকুড়া
পূর্ব মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর
ঝাড়গ্রাম
আলিপুরদুয়ার 
দার্জিলিং
কালিম্পং
কোচবিহার
উত্তর দিনাজপুর
দক্ষিণ দিনাজপুর
মালদা
মুর্শিদাবাদ
জলপাইগুড়ি
পুরুলিয়া
মুর্শিদাবাদ

পশ্চিমবঙ্গের 22 তম জেলা কোনটি?

  পশ্চিমবঙ্গের ২২ তম জেলা হলো মালদা।

পশ্চিমবঙ্গের 20তম জেলা কোনটি?

পশ্চিমবঙ্গের ২০ তম জেলা হল উত্তর দিনাজপুর জেলা।

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্রতম জেলা কোনটি?

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্রতম জেলা হল কলকাতা।

পশ্চিমবঙ্গের নবীনতম জেলা কোনটি

পশ্চিমবঙ্গের নবীনতম জেলা হল কালিম্পং ।

উপসংহার

  আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য বর্তমান সময়ের পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার নাম ও তার বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করলাম এছাড়া আপনারা যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না     ।

1 thought on “শ্চিমবঙ্গের কয়টি জেলা  কি কি এবং এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ”

Leave a Comment