জলপাইগুড়ি জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিকে অবস্থিত‌ এই জেলা। জলপাইগুড়ি একদিকে যেমন বিভাগীয় অপরদিকে সদর শহরও। এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভুটান, পূর্ব দিকে রয়েছে আসাম রাজ্য আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ।

আর পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল। এক সময়ে এই জেলা ছিল কোচবিহারের রাজার অধীনে। বর্তমানে যদিও এটি একটি জেলা। কিন্তু একসময় এটি ডুয়ার্সের অংশ ছিল। এই জেলার সীমানা ২৫° ১৫’ ৪৭” থেকে ২৬° ৫৯’ ৩৪” উত্তর অক্ষাংশ।

আর ৮৮° ২৩’ ০২” থেকে ৮৯° ০৭’ ৩০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই জেলার দু’পাশেই কিন্তু ২ টি ভিন্ন দেশ রয়েছে। বলা যায় দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝখানে পশ্চিমবঙ্গের এই জেলা অবস্থিত।

এই জেলায় ৭ টি মহকুমা রয়েছে। এর লোকসভা কেন্দ্র হল জলপাইগুড়ি। এই অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম হল জলপাইগুড়ি বিভাগ। এই অঞ্চলটি হিমালয়ের প্রান্ত ছুঁয়ে অবস্থিত।

আগেই বলেছি এটি একসময় কোচবিহারের রাজার অধীনস্থ ছিল। এই জেলার নামকরণের পিছনেও রয়েছে এক কাহিনী। জানতে হলে প্রতিবেদনটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে। তার আগে আপনাদের জানিয়ে রাখি এই জেলার ইতিহাস।

জলপাইগুড়ি জেলার ইতিহাস

এক সময়ে এই জেলা ছিল কোচবিহারের রাজার অন্তর্গত। এরপর ডুয়ার্স আর জলপাইগুড়ি জেলার একটি বিশাল অংশ ভুটানের রাজা দখল করে নেন। সেই কারণে প্রাক্ ব্রিটিশ যুগে এই জেলা ভুটানের অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল।

এরপর ১৮৬৪-৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভুটানের রাজার সাথে ব্রিটিশদের যুদ্ধ লাগে। সেই যুদ্ধে ভুটান হেরে যায়। আর জলপাইগুড়ি জেলা চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে। ভুটান ডুয়ার্স নামে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছিল। সেই সময় এটি কোন জেলা ছিল না।

এরপর ১৮৬৯ সালের ১ লা জানুয়ারি রংপুর জেলার ৫ টি থানা আর ডুয়ার্সের কিছু অংশ জলপাইগুড়ির সাথে যুক্ত করা হয়। আর সেই সময় থেকেই এটি জেলা হিসেবে তৈরি হয়। এই সময় জলপাইগুড়ি জেলার ২ টি অংশ ছিল। প্রথম অংশ ছিল রেগুলেটেড এরিয়া। এতে রংপুরের ৫ টি থানা যুক্ত ছিল। আর দ্বিতীয়টি ছিল নন রেগুলেটেড এরিয়া।

এর সাথে যুক্ত ছিল ভুটানের থেকে জিতে নেওয়া ডুয়ার্সের কিছু অংশ। এই সময় এই জেলার আয়তন ছিল ৩ হাজার ৫০ বর্গমাইল। তারপর ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যায়। আর এই জেলার ৫ টি থানা চলে যায় পূর্ব পাকিস্তানের অধীনে।

যে কারণে জলপাইগুড়ি জেলার আয়তন কিছুটা কমে যায়। তৎকালীন সময়ে জলপাইগুড়ি জেলার আয়তন কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৭৮ বর্গমাইলে। আবার এই জেলাকে ভাগ করা হয়। ২০১৪ সালের ২৫ শে জুন আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ হয়ে যায়। আর নতুনভাবে গঠিত হয় জলপাইগুড়ি জেলা।

জলপাইগুড়ি জেলার অবস্থান

এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভুটান, পূর্ব দিকে রয়েছে আসাম রাজ্য ও আলিপুরদুয়ার জেলা। আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা। আর পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা।

এই জেলার সীমানা ২৫° ১৫’ ৪৭” থেকে ২৬° ৫৯’ ৩৪” উত্তর অক্ষাংশ। আর ৮৮° ২৩’ ০২” থেকে ৮৯° ০৭’ ৩০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই জেলার ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক হল : ৮৮° ৪’ উত্তর আর ৮৯° ৫৩’ পূর্ব। ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতা লাভ করে সেই সময় এটি একটি বিভাগ ছিল। এই বিভাগের অন্তর্গত ছিল ৭ টি জেলা-

১. জলপাইগুড়ি জেলা
২. কোচবিহার জেলা
৩. উত্তর দিনাজপুর জেলা
৪. দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা
৫. আলিপুরদুয়ার জেলা
৬. মালদহ জেলা।

জলপাইগুড়ি জেলার জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৫৯৬ জন। আর জনঘনত্ব হল প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭০১ জন। পুরুষ ও মহিলার সংখ্যায় তারতম্য রয়েছে।

এই জেলার পুরুষের সংখ্যা ১২ লাখ ১৭ হাজার ৫৩২ জন এবং মহিলার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪ জন। জলপাইগুড়ি জেলার লিঙ্গ অনুপাত ৯৫৬.০৮৫ জন।

জলপাইগুড়ি জেলার ভূপ্রকৃতি

এই জেলা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকে অবস্থিত। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই জেলা। তরাই ডুয়ার্স অঞ্চলে এটি অবস্থিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ার কারণে নুড়ি, বালি ও পলি সঞ্চিত হয়ে এই জেলার ভূমিরূপ ঈষৎ ত্বরান্বিত হয়েছে।

এই জেলায় রয়েছে বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি। একাধিক নদী নালা আছে। এই জেলায় যেমন পাহাড়ি এলাকা রয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই রয়েছে সমতল এলাকা।

জলপাইগুড়ি জেলার জলবায়ু

এই অঞ্চলে বেশিরভাগ সময় বর্ষা লেগে থাকে। পাহাড়ের কাছে অবস্থিত হওয়ার কারণে তাপমাত্রা খুব একটা বেশি উঠতে পারেনা।

তবে এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অঞ্চলের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩ হাজার ১৬০ মিলিমিটার। গড় বার্ষিক আর্দ্রতা ৮২ শতাংশ।

জলপাইগুড়ি জেলার নদ-নদী

এই দিনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে একাধিক নদী। সেগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল তিস্তা, রায়ডাক, ধরলা, জলঢাকা, কুমলাই, জোড়া পানি, মাল, সুরসুতি, ফুলেশ্বরী, পাঙ্গা, তোর্সা, সুটুংগা, সুকৃতি, রাঙ্গামাটি, ঝুমুর, ব্রাহ্মণী, গুলমা প্রভৃতি।

এই জেলায় ২ টি নদী বাঁধ প্রকল্প রয়েছে। একটি হল সংকোচ নদী বাঁধ প্রকল্প, আর অপরটি তিস্তা বাঁধ প্রকল্প।

জলপাইগুড়ি জেলার অভয়ারণ্য

পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত অভয়ারণ্য জলদাপাড়া। এটি তোর্সা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এই অভয়ারণ্যে রয়েছে চিতাবাঘ, বাইসন ও হাতি। তবে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই অভয়ারণ্যে একশৃঙ্গ গন্ডার দেখতে ছুটে আসে। এছাড়াও জলপাইগুড়িতে রয়েছে গরুমারা অভয়ারণ্য। এটিও বেশ বিখ্যাত।

জলপাইগুড়ির দর্শনীয় স্থান

এই জেলায় একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন-

১. চাপরামারি :- এই অঞ্চল বন্য জীবজন্তুর জন্য বিখ্যাত।

২. জল্পেশ :- এই অঞ্চলে মানুষ শিব মন্দির দেখতে ভিড় জমান।

৩. হলং :- এটি একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র। এখানে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন।

৪. চালসা :- এখানে মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতেই ভিড় জমান। এখানে রয়েছে চা বাগান।

৫. জয়ন্তী মহাকাল :- এই এলাকাতেও বন্য জীবজন্তু দেখতে পাওয়া যায়।

৬. গরুমারা :- এটি একটি অভয়ারণ্য। এখানে লেপার্ড, হাতি, বাইসন, হরিণ ও গন্ডার দেখতে পাওয়া যায়।

জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

এই জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেশ উন্নত। এই জেলায় রয়েছে একাধিক হাসপাতাল। যেমন- জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল, নাগর কাটা গ্রামীণ হাসপাতাল, মালবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল, মেটেলি গ্রামীণ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল, রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল ইত্যাদি।

জলপাইগুড়ি জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা

এই জেলায় একাধিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কয়েকটি কলেজের নাম হল- ময়নাগুড়ি কলেজ, আনন্দ চন্দ্র কলেজ, রায়গঞ্জ কলেজ, জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সুকান্ত মহাবিদ্যালয়, সূর্যসেন মহাবিদ্যালয়, জলপাইগুড়ি ল কলেজ ইত্যাদি। এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ।

জলপাইগুড়ি জেলার পরিবহন ব্যবস্থা

এই জেলায় উন্নত সড়ক পথ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে উন্নত রেলপথ। জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ ময়নাগুড়ি, নিউ মাল জংশন ও জলপাইগুড়ি রোড় হল এই জেলার কয়েকটি বড় রেলস্টেশন।

জলপাইগুড়ি জেলার‌ নামকরণ

এই জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক গল্প শোনা যায়। ইতিহাস অনুযায়ী এই জেলার নাম হয়েছে জল্পেশ্বর থেকে। এটি দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক নাম। তবে অনেকে বলেন এই এলাকায় একসময় প্রচুর জলপাই গাছ ছিল। সেখান থেকেই এই জেলার নাম হয় জলপাইগুড়ি।

অবশ্য কোচ রাজবংশীদের অধীনে এই জেলার একভাগ ছিল। সেই সময় এই অঞ্চলের নাম ছিল কামতাপুর। তবে ব্রিটিশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও অভিযাত্রী স্যার জোসেফ ডাল্টন হকারের বর্ণনায় ‘জিলপিগুড়ি’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। অপরদিকে ব্রিটিশ ভূ বিজ্ঞানী জেমস রেনন ব্রিটিশ অধ্যুষিত ভারতবর্ষের যে মানচিত্র এঁকেছিলেন তাতে ‘জুলপিগোড়ি’ নামটির উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়।

জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা

এই জেলার সদর শহর হল জলপাইগুড়ি। এর ২ টি মহকুমা রয়েছে। একটি হলো জলপাইগুড়ি সদর আর অপরটি মাল। এছাড়াও এই জেলায় রয়েছে শিলিগুড়ি পৌরসংস্থা। আর রয়েছে ৩ টি পৌরসভা, যথাক্রমে- ধুপগুড়ি, মালবাজার ও জলপাইগুড়ি। এই জেলার ব্লক সংখ্যা হল ৭ টি।

যথা-
১. মাল
২. মাটিয়ালি
৩. জলপাইগুড়ি সদর
৪. ধুপগুড়ি
৫. ময়নাগুড়ি
৬. নাগরাকাটা
৭. রাজগঞ্জ।

এছাড়াও এই জেলায় রয়েছে ৮০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৭ টি পঞ্চায়েত সমিতি। জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদ সংখ্যা ১ টি আর বিধানসভা আসন ৬ টি। অপরদিকে লোকসভা আসন ১ টি। এই জেলার অন্তর্গত রয়েছে ৯ টি থানা আর ৪১৮ টি মৌজা। এই জেলার গ্রাম সংসদ সংখ্যা ১ হাজার ১৭৭ টি। জনবহুল গ্রাম রয়েছে ৪০৪ টি এবং বনগ্রাম রয়েছে ২৯ টি।

জলপাইগুড়ি জেলার প্রশ্ন উত্তর

জলপাইগুড়ি কিসের জন্য বিখ্যাত ?

জলপাইগুড়ি জেলা আনারস, চা বাগান, জলদাপাড়া অভয়ারণ্য, বাইসন ও একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য বিখ্যাত।

জলপাইগুড়ি জেলায় কয়টি ব্লক রয়েছে ?

এই জেলায় মোট ৭ টি ব্লক রয়েছে। যথা :- মাল, মাটিয়ালি, জলপাইগুড়ি সদর, ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা, রাজগঞ্জ।

জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা কয়টি ?

এই জেলায় ২ টি মহকুমা রয়েছে। একটি হল জলপাইগুড়ি সদর আর অপরটি মাল।

জলপাইগুড়ি জেলায় কয়টি থানা আছে

এই জেলায় রয়েছে ৯ টি থানা।

জলপাইগুড়ি জেলার পৌরসভা কয়টি ?

এই জেলায় রয়েছে ৩ টি পৌরসভা, যথাক্রমে- ধুপগুড়ি, মালবাজার ও জলপাইগুড়ি।

জলপাইগুড়ি জেলার পাহাড়

এই জেলা থেকে দার্জিলিং এর বিভিন্ন পাহাড় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ভুটানের পাহাড় এই জেলা থেকে দেখতে পাওয়া যায়।

জলপাইগুড়ি জেলার প্রধান নদী

এই জেলার প্রধান নদী তিস্তা ও তোর্সা।

উপসংহার :

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিকে অবস্থিত‌ এই জেলা। এই জেলায় রয়েছে ৩ টি পৌরসভা, যথাক্রমে- ধুপগুড়ি, মালবাজার ও জলপাইগুড়ি। এই জেলা থেকে দার্জিলিং এর বিভিন্ন পাহাড় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ভুটানের পাহাড় এই জেলা থেকে দেখতে পাওয়া যায়। ব্রিটিশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও অভিযাত্রী স্যার জোসেফ ডাল্টন হকারের বর্ণনায় ‘জিলপিগুড়ি’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে।

অপরদিকে ব্রিটিশ ভূ বিজ্ঞানী জেমস রেনন ব্রিটিশ অধ্যুষিত ভারতবর্ষের যে মানচিত্র এঁকেছিলেন তাতে ‘জুলপিগোড়ি’ নামটির উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভুটান, পূর্ব দিকে রয়েছে আসাম রাজ্য আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ।

আর পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রতিবেশীদের নেপাল। এক সময়ে এই জেলা ছিল কোচবিহারের রাজার অধীনে। বর্তমানে যদিও এটি একটি জেলা। কিন্তু একসময় এটি ডুয়ার্সের অংশ ছিল। এই জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান।

Leave a Comment