পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হল কোচবিহার জেলা। এটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা ও জলপাইগুড়ি জেলা। আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ।
পূর্ব দিকে রয়েছে আসামের ধুবড়ি জেলা আর পশ্চিম দিকে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা। মেজর রেনেল দ্বারা তৈরি মানচিত্রে কোচবিহারের নাম ‘বিহার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে কোচবিহারের মহারাজের আদেশ অনুযায়ী এই রাজ্যে সর্বশেষ নামকরণ হয়েছিল কোচবিহার।
আয়তনের দিক থেকে এটি পশ্চিমবঙ্গের ১৩ তম জেলা। এই জেলা প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫০ সালের ১৯ শে জানুয়ারি। বর্তমানে এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত হলেও একসময় এটি বৃহত্তর কামরুপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
কোচবিহার জেলার ইতিহাস
ইংরেজিতে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছিল কুচবিহার। যা বাংলায় উচ্চারণ হয় কোচবিহার হিসেবে। কোচ কথার অর্থ হল যে স্থানে রাজারা ভ্রমণ করতেন। ১৯৪৯ সালের ২৮ শে আগস্ট এর আগে পর্যন্ত কোচবিহার ছিল একটি রাজ্য। এই রাজ্যের শাসনভার সামলাতেন কোচবিহারের রাজা। যিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে একজন সামন্ত শাসক ছিলেন।
আসলে ১৭৭২ সালে ভুটানের সাথে কোচবিহারের সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সময় কোচবিহারের তৎকালীন রাজা ধৈজেন্দ্র নারায়ণ এবং ওয়ারেন হেস্টিংস এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির কারণে কোচবিহার ব্রিটিশদের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।
এরপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৭৩ সালে রাজ্যটির নাম করে ‘কোচবিহার’। আর রাজধানীর নাম রাখা হয় ‘বিহার ফোর্ট’। কোচবিহার কথার অর্থ হল যে স্থানে কোচ জাতি বসবাস করে। এরপর এই রাজ্যের সমস্ত ক্ষমতা আর কর্তৃত্ব ভারত সরকারকে সমর্পণ করেন কোচবিহারের তৎকালীন রাজা। ১৯৫০ সালের ১৯ শে জানুয়ারি থেকে ভারতের মানচিত্রে কোচবিহার একটি নতুন জেলা রূপে প্রকাশ পায়।
কোচবিহার আসলে কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। কামরূপের রাজধানী বিভক্ত হওয়ার পর কোচবিহার কামতা -র অন্তর্গত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত হয়েছিল ‘শাহজাহাননামা’ গ্রন্থটি। এই গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে কোচবিহার নামটির।
তবে মেজর রেনেল দ্বারা তৈরি মানচিত্রে কোচবিহারের নাম ‘বিহার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে কোচবিহারের মহারাজের আদেশ অনুযায়ী এই জেলার সর্বশেষ নামকরণ হয়েছিল কোচবিহার।
পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হলো কোচবিহার জেলা। এটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা ও জলপাইগুড়ি জেলা।
আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ। পূর্ব দিকে রয়েছে আসামের ধুবড়ি জেলা আর পশ্চিম দিকে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা। এটি উত্তরবঙ্গ সমভূমির অন্তর্গত। এই জেলায় কোন পাহাড় বা পর্বত নেই। কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় বিশালাকার ঝিল রয়েছে। এই জেলার আয়তন ১ হাজার ৩০৮ বর্গমাইল।
কোচবিহার জেলার জনসংখ্যা
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী কোচবিহারের জনসংখ্যা ২৮ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৬ জন। জনসংখ্যা হিসেবে ভারতের ৭৩৯ টি জেলার মধ্যে ১৩৬ তম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই জেলাটি।
কোচবিহার জেলার ভূপ্রকৃতি
কোচবিহারের প্রকৃতির সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না। সবুজে মোড়া এই জেলা। এটি উত্তরবঙ্গ সমভূমির অন্তর্গত হওয়ার কারণে এখানকার ভূভাগ বেশ উঁচু নিচু। বেশ কিছু অঞ্চল এতটাই নিচু যে বর্ষাকালে নদীর কূল ছাপিয়ে বন্যা হয় এই জেলায়।
অবশ্য কোন পাহাড় ও পর্বত নেই। তবে রয়েছে একাধিক খাল ও বিল। এখানকার মাটি পাললিক প্রকৃতির। জায়গায় জায়গায় রয়েছে আলগা বালি মাটি। তবে উপরের স্তর দোঁয়াশ মাটি। সব জায়গাতেই ৩ ফুট গভীর এখানকার মৃত্তিকা।
আবার বেশ কিছু জায়গায় এই গভীরতা আরও কম। এই জেলার পূর্ব দিকের দোআঁশ মাটির রং কালো। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই মাটির রং ছাই।
কোচবিহার জেলার জলবায়ু
এখানকার জলবায়ুতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। তবে আবহাওয়া খুব একটা উষ্ণ নয়। এই জেলায় গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে যায় মার্চ মাসে। আর শেষ হয় মে মাসে। জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল স্থায়ী হয়। তবে শীতকাল নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়ে গিয়ে একেবারে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে।
বছরের অন্যান্য সময় মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে এই জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এই জেলার বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ মিলিমিটার থেকে ৩ হাজার ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত।
গ্রীষ্মকালে এই জেলার সর্বোচ্চ গড় উষ্ণতা থাকে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে। আর সর্বনিম্ন গড় উষ্ণতা থাকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শীতকালে এই জেলার সর্বোচ্চ গড় উষ্ণতা থাকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে আর সর্বনিম্ন গড় উষ্ণতা থাকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
কোচবিহার জেলার নদ-নদী
এই জেলার সব নদ নদী দক্ষিণ পূর্ব দিক দিয়ে সামান্য ঢাল বরাবর প্রবাহিত হয়। এখানে বেশকিছু জলাশয় রয়েছে। এই জেলা দিয়ে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি, গদাধর, ধরলা, সঙ্কোশ, রায়ডাক, ডুডুয়া, সুটুঙ্গা, মালদাহা, সিমলাজান প্রভৃতি নদী বয়ে চলেছে।
তবে এই জেলার প্রধান ৬ টি নদী হল তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি, রায়ঢাক ও গদাধর। এই নদীগুলো হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়েছে। পশ্চিম ডুয়ার্স অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোচবিহারে প্রবেশ করেছে এই নদীগুলি।
এরপর বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে প্রবেশ করেছে। এই নদীগুলি ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। বর্ষাকালে দুকুল ছাপিয়ে বন্যা হয় এইসব নদীতে। গ্রীষ্মকালে কেবলমাত্র তিস্তা নদীতেই জল থাকে।
কোচবিহার জেলার নামকরণ
ইংরেজিতে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছিল কুচবিহার। যা বাংলায় উচ্চারণ হয় কোচবিহার হিসেবে। কোচ কথার অর্থ হল যে স্থানে রাজারা ভ্রমণ করতেন। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হলো কোচবিহার জেলা। এটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৭৩ সালে রাজ্যটির নাম করে ‘কোচবিহার’। আর রাজধানীর নাম রাখা হয় ‘বিহার ফোর্ট’। কোচবিহার কথার অর্থ হল যেখানে কোচ জাতি বসবাস করে। সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত হয়েছিল ‘শাহজাহাননামা’ গ্রন্থটি।
এই গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে কোচবিহার নামটির। তবে মেজর রেনেল দ্বারা তৈরি মানচিত্রে কোচবিহারের নাম ‘বিহার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে কোচবিহারের মহারাজের আদেশ অনুযায়ী এই জেলার সর্বশেষ নামকরণ হয়েছিল কোচবিহার।
কোচবিহার জেলার দর্শনীয় স্থান
পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো এখানে একাধিক স্থান রয়েছে। যেমন-
১. মদন মোহন মন্দির :-
এই মন্দির কোচবিহার শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই মন্দির ১৮৮৫ সাল থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ নির্মাণ করিয়েছিলেন। এখানে পুজো করা হয় মা তারা, মা ভবানী, মা কালী ও প্রভু মদন মোহন -কে। এছাড়াও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে কোচবিহারে রাস মেলা ও রাস যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
২. রসিক বিল :-
এখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা হয়। রসিক বিলের ওয়াচ টাওয়ার গোটা এলাকার একটি সুবিধা জনক পয়েন্ট। এখান থেকে বনে উপস্থিত সকল জীবজন্তু দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও রয়েছে কোচবিহারের রাজবাড়ি, বানেশ্বর শিব মন্দির, সাগরদিঘী, কোচবিহার রাজবাড়ির পার্ক, গোসানিমারি রাজপথ, জয়ী ব্রিজ ইত্যাদি।
কোচবিহার জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
কোচবিহার জেলায় একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। যেমন- এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জে ডি হসপিটাল, পুলিশ হাসপাতাল, কোচবিহার মিশন হসপিটাল, নিউ কোচবিহার রেলওয়ে হসপিটাল, পোদ্দার স্পেশালিটি হসপিটাল, কোচবিহার গর্ভমেন্ট মেডিকেল হসপিটাল, মহারাজা নার্সিং হোম ইত্যাদি।
কোচবিহার জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
কোচবিহার জেলার মোট সাক্ষরতার হার ৭৫.৪৯ শতাংশ। এই জেলায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পুন্ডিবারী, এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়, তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয়, দিনহাটা মহাবিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা মহাবিদ্যালয়, মেখলীগঞ্জ মহাবিদ্যালয়, শীতলখুচি মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি।
কোচবিহার জেলার পরিবহন ব্যবস্থা
এই জেলায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা বেশ উন্নত। জাতীয় সড়ক ৩১ এই জেলার পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই জেলার প্রধান রেলস্টেশন নিউ কোচবিহার। এই জেলার একমাত্র বিমানবন্দর হল কোচবিহার বিমানবন্দর।
কোচবিহার জেলার সংস্কৃতি
এখানে সংস্কৃতি পরিমণ্ডলে লোকসংগীত বেশ জনপ্রিয়। এখানে সব থেকে বেশি ভাওয়াইয়া গান গাওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে পালাগানের চলন। পালাগানের আসর বসলে বিষহরা এখানকার মানুষদের মন জয় করে নেয়।
কোচবিহার জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা
এই জেলার সদর শহর হল কোচবিহার। কোচবিহারে মোট ৫ টি মহকুমা রয়েছে। যেমন – তুফানগঞ্জ, কোচবিহার সদর, মাথাভাঙ্গা, দিনহাটা ও মেখলিগঞ্জ। এছাড়াও রয়েছে ৬ টি পৌরসভা। সেগুলি হল – মাথাভাঙ্গা পৌরসভা, কোচবিহার পৌরসভা, হলদিবাড়ি পৌরসভা, দিনহাটা পৌরসভা, তুফানগঞ্জ পৌরসভা ও মেখলিগঞ্জ পৌরসভা। আর রয়েছে ১২ টি ব্লক ও ১২ টি পঞ্চায়েত সমিতি। এই জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ১২৮ টি।
আর গ্রাম সংসদ রয়েছে ১ হাজার ৭১৪ টি। কোচবিহার জেলায় গ্রাম রয়েছে ১ হাজার ১৩২ টি। এই জেলার মৌজার সংখ্যা ১ হাজার ২০২ টি। এই জেলায় জেলা পরিষদ রয়েছে ১ টি। কোচবিহার জেলার বিধানসভার আসন ৯ টি আর লোকসভার আসন ১ টি।
এই জেলায় মোট ১৪ টি থানা রয়েছে। যেমন – শীতলকুচি থানা, হলদিবাড়ি থানা, কুচলীবাড়ী থানা, বক্সিরহাট থানা, মেখলিগঞ্জ থানা, ঘোকসাডাঙ্গা থানা, দিনহাটা মহিলা থানা, কোচবিহার কোতোয়ালি থানা, পুন্ডিবাড়ী থানা, সাহেবগঞ্জ থানা, সিতাই থানা, দিনহাটা থানা, মাথাভাঙ্গা থানা ও তুফানগঞ্জ থানা।
কোচবিহার জেলার প্রশ্ন উত্তর :
কোচবিহার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?
উঃ কোচবিহার জেলা রাস মেলার জন্য বিখ্যাত।
কোচবিহার জেলায় কয়টি ব্লক রয়েছে ?
উঃ কোচবিহার জেলায় রয়েছে ১২ টি ব্লক। যথা :- কোচবিহার ১, কোচবিহার ২, সিতাই, শীতলকুচি, দিনহাটা ১, দিনহাটা ২, তুফানগঞ্জ ১, তুফানগঞ্জ ২, হলদিবাড়ি, মাথাভাঙ্গা ১, মাথাভাঙ্গা ২ ও মেখলিগঞ্জ।
কোচবিহার জেলার মহকুমা কয়টি ?
উঃ কোচবিহারে মোট ৫ টি মহকুমা রয়েছে। যেমন – তুফানগঞ্জ, কোচবিহার সদর, মাথাভাঙ্গা, দিনহাটা ও মেখলিগঞ্জ।
কোচবিহার জেলায় কয়টি থানা আছে ?
উঃ এই জেলায় মোট ১৪ টি থানা রয়েছে। যেমন – শীতলকুচি থানা, হলদিবাড়ি থানা, কুচলীবাড়ী থানা, বক্সিরহাট থানা, মেখলিগঞ্জ থানা, ঘোকসাডাঙ্গা থানা, দিনহাটা মহিলা থানা, কোচবিহার কোতোয়ালি থানা, পুন্ডিবাড়ী থানা, সাহেবগঞ্জ থানা, সিতাই থানা, দিনহাটা থানা, মাথাভাঙ্গা থানা ও তুফানগঞ্জ থানা।
কোচবিহার জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।
উঃ কোচবিহার জেলায় একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। যেমন- এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জে ডি হসপিটাল, পুলিশ হাসপাতাল, কোচবিহার মিশন হসপিটাল ইত্যাদি।
কোচবিহার জেলার প্রধান নদী কী ?
উঃ এই জেলার প্রধান ৬ টি নদী হল তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানি, রায়ঢাক ও গদাধর।
কোচবিহার জেলার পাহাড়ের নাম লেখ।
উঃ কোচবিহার জেলায় কোনও পাহাড় ও পর্বত নেই।
কোচবিহার জেলার পৌরসভা কয়টি ?
উঃ কোচবিহার জেলায় রয়েছে ৬ টি পৌরসভা। সেগুলি হল – মাথাভাঙ্গা পৌরসভা, কোচবিহার পৌরসভা, হলদিবাড়ি পৌরসভা, দিনহাটা পৌরসভা, তুফানগঞ্জ পৌরসভা ও মেখলিগঞ্জ পৌরসভা।
উপসংহার :
আয়তনের দিক থেকে এটি পশ্চিমবঙ্গের ১৩ তম জেলা। এই জেলা প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫০ সালের ১৯ শে জানুয়ারি। বর্তমানে এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত হলেও একসময় এটি বৃহত্তর কামরুপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
কামরূপের রাজধানী বিভক্ত হওয়ার পর কোচবিহার কামতা -র অন্তর্গত হয়। কোচবিহার কথার অর্থ হল যেখানে কোচ জাতি বসবাস করে। সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রচিত হয়েছিল ‘শাহজাহাননামা’ গ্রন্থটি। এই গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে কোচবিহার নামটির।