ই-শ্রম(E-shram) কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা। ই-শ্রম কার্ড আবেদন ও ডাউনলোড

ই-শ্রম(E-shram) কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা। ই-শ্রম কার্ড আবেদন ও ডাউনলোড

সমস্ত অসংগঠিত কর্মীদের পেনশনের ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকার ই শ্রম প্রকল্প চালু করেছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত অসংগঠিত কর্মীদের পেনশন, বীমা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার জন্য এক ছাতার তলায় আনতে চায়। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি এই ই-শ্রম পোর্টাল চালু করেছেন। আপনি আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে eshram.gov.in-এ এটি অ্যাক্সেস করতে পারেন।

ই-শ্রম(E-shram) পোর্টালে শ্রমিকদের নিবন্ধনের জন্য প্রায় ৪০৪ কোটি টাকার বাজেট মঞ্জুর করা হয়েছে। কর্মীরা বিনামূল্যে ই-শ্রম পোর্টালে সরাসরি নিবন্ধন করতে পারেন বা ই-শ্রম নিবন্ধনের জন্য CSC কেন্দ্রের সাহায্য নিতে পারেন।

আমরা ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা, কিভাবে ই-শ্রম(E-shram) কার্ড আবেদন ও ডাউনলোড করবেন সমস্ত কিছু জানাবো।

ই-শ্রম কার্ড কি?

অসংগঠিত সেক্টরে কাজ করা লোকদের জন্য, সরকারে একটি কার্ড জারি করেছে, যার নাম হল ই-শ্রম (E-shram) কার্ড। দেশে স্বাধীনতার 75 বছরে পা দিতে চলল তবুও সরকারের কাছে অসংগঠিত কর্মীদের কোন প্রকার তথ্য নেই ।

ফলে সমস্ত অসংগঠিত কর্মীরা অনেক প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। সরকার সেই সমস্ত কর্মীদেরকে বিভিন্ন রকমের সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং তাদের পরিচিতির জন্য ই-শ্রম কার্ড তৈরি করেছে।আধার কার্ডের মতো, এটিও একটি সর্বজনীন ১২ সংখ্যার একটি কার্ড।

অসংগঠিত কর্মীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বা যেকোনো সরকারি প্রকল্পের সহায়তা এই কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা হবে বলে আশাবাদী। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এই কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা থাকে তাই যেকোনো আর্থিক সহায়তা সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা

  • ই-শ্রম কার্ডধারী কে সরকার লকডাউন সময় দেড় হাজার টাকা ও ফ্রিতে রেশন দিয়েছিল এবং ভবিষ্যতে শ্রমিকদের জন্য দেওয়া যে কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিতে হলে এই কার্ডটি থাকা আবশ্যক ।
  • 18 থেকে 40 বছর বয়সের নারী-পুরুষ সকলেই ই-শ্রম কার্ডের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী পেনশন যোজনা মাধ্যমে 60 বছর পরে মাসে মাসে তিন হাজার টাকা পেনশন নিতে পারবেন।
  • এই কার্ডটি সারা ভারতে বৈধ।
  • এই কার্ডের সাহায্যে আপনি প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা(PMSBY) লাভ নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কিংবা পূর্ণাঙ্গ বিকলাঙ্গ হলে দু লক্ষ টাকা এবং আংশিক বিকলাঙ্গ হলে এক লক্ষ টাকা পাবেন।এর জন্য আপনাকে প্রতি বছর 12 টাকা দিতে হবে এবং আপনার লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।

ই-শ্রম কার্ডের অসুবিধা

ই-শ্রম কার্ড আপনার কোনো ক্ষতি হবে না। এই কার্ডটি ব্যবহার করার পর, আপনি ভবিষ্যতে অস্থায়ী কর্মীদের জন্য দেওয়া যেকোনো ধরনের সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

ই-শ্রম কার্ড আবেদন যোগ্যতা

  • বয়স হতে হবে 16-59 বছরের মধ্যে (28-11-1961 থেকে 27-11-2005)
  • এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) থাকলে আপনি আবেদনের যোগ্য নয়।
  • এমপ্লয়ীজ স্টেট ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (ESIC) থাকলে আপনি আবেদনের যোগ্য নয়।
  • করদাতা আবেদন করার যোগ্য নন।
  • অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে

ই-শ্রম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি

  1. আধার কার্ড নম্বর
  2. মোবাইল নম্বর যা আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা আছে।
  3. ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ।

কারা ই-শ্রমিক কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে?

প্রকল্পটিতে প্রায় 154 রকমের অসংগঠিত সেক্টরের কর্মরত কর্মীরা আবেদন করার যোগ্য। আপনাদের বোঝার জন্য নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল ।

  • কৃষি শ্রমিক
  • মৎস্যজীবী
  • ️পশুপালনে নিয়োজিত মানুষ
  • বিল্ডিং এবং নির্মাণ শ্রমিক
  • চামড়া শ্রমিক
  • তাঁতি
  • ইট ভাটা ও পাথর কোয়ারির শ্রমিক
  • স মিলের শ্রমিকরা
  • স্বর্ণকার
  • চায়ের দোকানদার
  • সবজিওয়ালা
  • সেলাই কর্মী, ইত্যাদি

ই শ্রম কার্ড শেষ তারিখ

বর্তমানে কোন সময়সীমা নেই। আপনি যখন খুশি আবেদন করতে পারেন।

ই-শ্রম কার্ড অনলাইন এপ্লাই পদ্ধতি

  1. প্রথমে আপনাকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://eshram.gov.in খুলতে হবে। এর পরে হোম পেজে, আপনাকে ‘সেলফ রেজিস্ট্রেশন’ বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে। এখন, আপনি “সেলফ রেজিস্ট্রেশন” পেজে পৌঁছাবেন।
  2. আপনার ফোন নম্বর লিখুন যা আপনার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা আছে।ক্যাপচা কোড লিখুন এবং সেন্ড ওটিপি ক্লিক করুন।
  • এখন আপনার প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি(OTP) আসবে ওটিপি(OTP) টি পূরণ করে সাবমিট করুন।
  • এখন আপনাকে আপনার আধার কার্ড নম্বর লিখতে বলা হবে এবং শর্তাবলী স্বীকার করুন এবং সাবমিট বোতামে ক্লিক করুন।
  • এখন আপনার সামনে আবেদনপত্রটি খুলে যাবে তারপর আপনাকে আবেদনপত্রটি কে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।

ই-শ্রম (E-shram) কার্ড ডাউনলোড

আপনি উপরের ডাউনলোড বোতামটি দেখতে পারেন এবং আপনি সেখানে ক্লিক করে এটি ডাউনলোড করতে পারেন অথবা আপনি পরের বার আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে এটি ডাউনলোড করতে পারেন।

FAQ

১. ফোন নাম্বার আধার লিঙ্ক ছাড়া ই শ্রম কার্ড আবেদন করা যাবে ?

আপনার যদি আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা না থাকে, তাহলে আপনাকে আবেদন করতে CSC কেন্দ্রে যেতে হবে। অথবা আধার কেন্দ্র গিয়ে মোবাইল নাম্বারের সাথে আধার নাম্বার লিঙ্ক করার পরে আপনি ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন।

২. ই শ্রম কার্ড মোবাইল দিয়ে আবেদন করা যাবে ?

অবশ্যই মোবাইল ফোন দিয়ে আবেদন করতে পারবেন তার জন্য eshram.gov.in যেতে হবে ।

৩. এই কার্ডের জন্য বছরে কি টাকা কাটবে ?

এই মূলত বিনামূল্যে করা যায় মোবাইল ফোন কিংবা মাধ্যমে কম্পিউটার মাধ্যমে ঘরে বসেই করতে পারবেন।CSC সেন্টার থেকে করলে কিছু টাকা লাগবে।প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা(PMSBY) লাভ নেওয়ার জন্য যদি আবেদন করেন সেক্ষেত্রে বছরে 12 টাকা দিতে হবে।

আর যদি প্রধানমন্ত্রী পেনশন স্কিমের জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনাকে আপনার বয়সের ভিত্তিতে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হবে।সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হবে।এবং যদি আপনি কোন কিছুর জন্য আবেদন না করেন তবে এক বছরে কোন পরিমাণ অর্থ কাটা হবে না। যখন সরকার থেকে অস্থায়ী কর্মীদের জন্য কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে তখন আপনি সেই সুযোগ সুবিধা পাবেন।

আমাদের অন্যান্য লেখা

বঙ্গ আলো একটি বাংলা খবর ওয়েবসাইট। এখানে আমরা বাংলায় দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবর উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও আপনাদের বিভিন্ন দরকারি বিষয়বস্তু আপনার নিজের মাতৃভাষার, অর্থাৎ বাংলায় উপস্থাপন করা আমাদের প্রধান লক্ষণ।আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই আমাদের পরম বক্তব্য।
Leave a Comment