বীরভূম জেলার ইতিহাস
এই জেলা কোন এক সময় মৌর্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। পরে তা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্যেও এটি যুক্ত হয়েছিল। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই জেলার উপর শাসন করেছিলেন হর্ষবর্ধন। তারপর পাল রাজারা এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল রাজাদের পর এই অঞ্চলের শাসনভার যায় সেন রাজাদের হাতে।
পাল রাজাদের সময় মহাযান বৌদ্ধ ধর্ম এই অঞ্চলে বিকাশ লাভ করেছিল। খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে এই অঞ্চলে মুসলিম শাসন শুরু হয়। তবে এই জেলার পশ্চিমাংশে শাসনকার্য চালাতেন বীর রাজবংশ নামে স্থানীয় হিন্দু শাসনকর্তারা। পৌরাণিক বিবরণ থেকে জানা যায়, বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশ একসময় তান্ত্রিক ক্রিয়া-কলাপ এর পিঠস্থান ছিল। এই অংশের নাম ছিল বজ্জভূমি। কিছু কিছু গ্রন্থকার তান্ত্রিক ক্রিয়া-কলাপের জন্য এই জেলার নাম দিয়েছিলেন কামকোটি। বৌদ্ধ তান্ত্রিক, শাক্ত তান্ত্রিক ও ব্রজযানদের বহু মন্দির রয়েছে এই অঞ্চলে। যেমন – সাঁইথিয়া, তারাপীঠ, কংকালীতলা, ফুল্লরা, বক্রেশ্বর, নলহাটি ইত্যাদি।
এরপর ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলে শাসন কাজ শুরু করে। এর ফলেই জন্ম নেয় বীরভূম নামক প্রশাসনিক জেলা। তৎকালীন সময়ের ‘ডিস্ট্রিক্ট বীরভূম’ বর্তমান বীরভূমের থেকে আকারে অনেক বড় ছিল। সেই সময় বিষ্ণুপুর এই জেলার অন্তর্গত ছিল। এমনকি ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের আগে পর্যন্ত সাঁওতাল পরগনা এই জেলারই অংশ ছিল। এই জেলা তৎকালীন সময় দেওঘর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সাঁওতাল বিদ্রোহের পর বীরভূম জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হয়।
বীরভূম জেলার অবস্থান
বীরভূম জেলা ২৩° ৩২’ ৩০” ও ২৪° ৩৫’ ০” উত্তর অক্ষাংশে আর ৮৭° ৫’ ৪৫” ও ৮৮° ১’ ৪০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই জেলার মোট আয়তন ৪ হাজার ৫৪৫ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে ঝাড়খন্ড রাজ্য। আর পূর্বদিকে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। ভৌগলিক দিক থেকে বিচার করলে এই জেলা ছোটনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।
বীরভূম জেলার জনসংখ্যা
১৯০১ সালে বীরভূমের জনসংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ২ হাজার ২৮০ জন। যা ১৯১১ সালে ০.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ৪০ হাজার ১৬২ জনে। কিন্তু ১৯২১ সালে এই সংখ্যা ০.৯৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে ১৯৩১ সালে ১.০৭ শতাংশ বেড়ে মোট জনসংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৫৪ জন। ২০০১ সালে এই জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষ ১৫ হাজার ৪২২ জন। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার জনসংখ্যা ৩৫ লক্ষ ২ হাজার ৪০৪ জন। ভারতবর্ষের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে জনগণনার নিরিখে বীরভূম জেলার স্থান ৮৪ তম। এই জেলার জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭৭১ জন। এই যে লাল লিঙ্গানুপাত ১০০০ : ৯৫৬ (পুরুষ : নারী)।
বীরভূম জেলার ভূপ্রকৃতি
এই জেলাটির আকৃতি ত্রিভুজের মতো। বীরভূমের নিম্নস্থ বাহু গঠন করেছে অজয় নদ। অজয় নদের মাধ্যমে বর্ধমান জেলা ও বীরভূম জেলার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এই জেলার ঢাল ক্রমশ পূর্ব দিকে নেমে গেছে। প্রাকৃতিক কারণে বীরভূম জেলার পশ্চিম ভাগে পাথুরে গঠন তৈরি হয়েছে। এখানেই অবস্থিত বীরভূম জেলার একমাত্র পাহাড় মামা ভাগ্নে। যা এই জেলার দুবরাজপুর শহরের কাছে অবস্থিত। বীরভূম জেলার পশ্চিম অংশ আগে ‘বজ্রভূমি’ নামে পরিচিত ছিল। পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় পূর্ব অংশ অপেক্ষাকৃত বেশি উর্বর।
বীরভূম জেলার জলবায়ু
এই জেলার পূর্বাংশ আর পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি পৃথক। যেখানে এই জেলার পশ্চিম দিকের জলবায়ু শুষ্ক আর চরম প্রকৃতির, সেখানে পূর্ব দিকের জলবায়ু অপেক্ষাকৃত মৃদু। এমনকি পূর্ব অংশের তুলনায় এই জেলার পশ্চিম অংশে বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে থাকে। পশ্চিম অংশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১ হাজার ৪০৫ মিলিমিটার ও পূর্ব অংশের গড় বৃষ্টিপাত ১ হাজার ২১২ মিলিমিটার। এই জেলায় সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয় জুলাই-আগস্ট মাসে। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গরম কালে থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আর শীতকালে এই জেলার তাপমাত্রা নেমে যায় ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
বীরভূম জেলার নদ-নদী
এই জেলায় অসংখ্য নদ-নদী প্রবাহিত হয়। যেমন – কোপাই, চপলা, ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, বক্রেশ্বর, হিংলো, অজয় ইত্যাদি। সিউড়ির কাছে ময়ূরাক্ষী নদীতে তৈরি হয়েছে তিলপাড়া বাঁধ প্রকল্প। এই প্রকল্পের দৌলতে ২ হাজার ৪২৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলে জলসেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই জেলার প্রায় সব নদী পূর্ববাহিনী। তবে বর্ষাকালে এখানকার সব নদী ফুলে ফেঁপে উঠে ভয়ংকর আকার নেয়। আবার গ্রীষ্মের সময় এখানকার নদীগুলি শুষ্ক আকার গ্রহণ করে।
বীরভূম জেলার সংস্কৃতি
বীরভূম জেলার সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশ খানিকটা আলাদা। এখানকার সর্বত্র বাউল গান শুনতে পাওয়া যায়। এই জেলা মূলত বাউলদের দর্শন ও সংগীতের জন্য বিখ্যাত। বাউলদের পাশাপাশি এই জেলায় কীর্তনীয়া ও কবিয়ালদেরও বসবাস রয়েছে। এই সব কিছুকে কেন্দ্র করে বীরভূমে অসংখ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ হল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। পৌষ মাসে এই মেলা আরম্ভ হয় আর চলে মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত। এছাড়াও রয়েছে জয়দেব কেন্দুলীর মেলা। বীরভূমের মানুষের জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে যাত্রা, আলকাপ ও কবিগান। বহু বিখ্যাত কবির জন্মভূমি হল বীরভূম। যেমন :- জ্ঞানদাস, চন্ডীদাস ও জয়দেব।
বৈষ্ণব ধর্ম, শাক্ত ধর্ম ও শৈব ধর্মের মিলনক্ষেত্র হল বীরভূম জেলা। এখানে এই ৩ ধর্মের সঙ্গমে নানান গ্রাম দেবতা পুজোর প্রথা চলে আসছে। এখানকার বিখ্যাত ধর্মস্থান হল – পাথরচাপড়ি, বক্রেশ্বর ও তারাপীঠ। শুধুমাত্র ধর্মের দিক থেকে নয় এখানকার মন্দিরগুলি পোড়ামাটির ভাস্কর্যের জন্যেও বিখ্যাত।
বীরভূম জেলার দর্শনীয় স্থান
এই জেলার দর্শনীয় স্থানগুলি হল – সাঁইথিয়া, তারাপীঠ, কংকালীতলা, ফুল্লরা, বক্রেশ্বর, নলহাটি, শান্তিনিকেতন ইত্যাদি।
বীরভূম জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
এই জেলায় একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছে। যেমন – সুড়ি পুলিশ হাসপাতাল, সুড়ি সদর হাসপাতাল, মল্লারপুর হাসপাতাল, গ্লোকাল হসপিটাল, আশা নার্সিংহোম, রামপুরহাট হেল্থ ডিস্ট্রিক্ট হসপিটাল, বীরভূম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হসপিটাল, রামপুরহাট গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ইত্যাদি।
বীরভূম জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
স্বাধীনতা পরবর্তী বছরগুলিতে বীরভূম জেলার সাক্ষরতার হার ছিল ১৭.৭৪ শতাংশ। ১৯৯১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮.৫৬ শতাংশে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭০.৯ শতাংশ। এই জেলায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ১২৭ টি গ্রন্থাগার রয়েছে। বীরভূম জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৫৬ টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১১০ টি, জুনিয়র হাই মাদ্রাসা রয়েছে ১০ টি, সিনিয়র মাদ্রাসা রয়েছে ৪ টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৩৭ টি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ২ হাজার ৪০৭ টি, কলেজ রয়েছে ১২ টি, বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১ টি, পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে ১ টি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রয়েছে ২ টি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে ১ টি।
বীরভূম জেলার পরিবহন ব্যবস্থা
এই জেলায় উন্নত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে মোট ২ হাজার ৪১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাকা সড়ক পথ রয়েছে। আর রয়েছে ৪ হাজার ৬৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কাঁচা রাস্তা। এছাড়াও রয়েছে ২০১.৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথ। অন্ডাল-সাঁইথিয়া লাইনের মাধ্যমে হাওড়া-দিল্লি মেইন লাইনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এই জেলার।
বীরভূম জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
বহু প্রখ্যাত ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রয়েছে এই জেলার। যেমন-
১. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় :- বাঙালি উপন্যাসিক।
২. অমর্ত্য সেন :- নোবেল জয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ।
৩. সুমিত্রা দেবী :- হিন্দি ও বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী।
৪. বাসুদেব দাস বাউল :- বাঙালি বাউল গায়ক।
৫. প্রণব মুখোপাধ্যায় :- ভারতের ত্রয়োদশ তম রাষ্ট্রপতি।
৬. সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ :- ব্রিটিশ ভারতের বিচারক ও আইনবিদ।
৭. মোহাম্মদ কিবরিয়া :- বাংলাদেশী শিল্পী।
৮. রাখাল চিত্রকর :- পট শিল্পী।
এছাড়াও রয়েছেন মোহাম্মদ কুদরত-এ-খুদা, শাহানা বাজপেয়ি, আনন্দমোহন চক্রবর্তী, সুতপা বিশ্বাস, একরাম আলী, নবীন দাস বাউল।
বীরভূম জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা
এই জেলার সদর দপ্তর হল সিউড়ি শহর। এখানে রয়েছে ৩ টি মহকুমা। যথা :- রামপুরহাট, সিউড়ি সদর ও বোলপুর। আর রয়েছে ১৯ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। বীরভূম জেলায় রয়েছে মোট ২৭ টি থানা। যার মধ্যে থেকে ২ টি হল মহিলা থানা আর ১ টি সাইবার থানা। এই জেলায় রয়েছে ১৬৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৬ টি পৌরসভা।
এই জেলায় ২ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। যথা :- বীরভূম ও বোলপুর। আর রয়েছে ১১ টি বিধানসভা আসন। যথা :- মুরারই, বোলপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, সিউড়ি, হাঁসন, ময়ূরেশ্বর, রামপুরহাট, নলহাটি, লাভপুর ও নানুর।
বীরভূম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?
উঃ বীরভূম জেলা শান্তিনিকেতন -এর জন্য বিখ্যাত।
বীরভূম জেলায় কয়টি ব্লক রয়েছে ?
উঃ বীরভূম জেলায় রয়েছে ১৯ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক।
বীরভূম জেলার মহকুমা কয়টি ?
উঃ বীরভূম জেলায় রয়েছে ৩ টি মহকুমা। যথা :- রামপুরহাট, সিউড়ি সদর ও বোলপুর।
বীরভূম জেলায় কয়টি থানা আছে ?
উঃ বীরভূম জেলায় রয়েছে মোট ২৭ টি থানা। যার মধ্যে থেকে ২ টি হল মহিলা থানা আর ১ টি সাইবার থানা।
বীরভূম জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।
উঃ এই জেলায় একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছে। যেমন – সুড়ি পুলিশ হাসপাতাল, সুড়ি সদর হাসপাতাল, মল্লারপুর হাসপাতাল, গ্লোকাল হসপিটাল, আশা নার্সিংহোম, রামপুরহাট হেল্থ ডিস্ট্রিক্ট হসপিটাল, বীরভূম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হসপিটাল, রামপুরহাট গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ইত্যাদি।
বীরভূম জেলার প্রধান নদী কোনটি ?
উঃ এই জেলার প্রধান নদী অজয় নদ।
বীরভূম জেলার পাহাড় সম্পর্কে লেখ।
উঃ প্রাকৃতিক কারণে বীরভূম জেলার পশ্চিম ভাগে পাথুরে গঠন তৈরি হয়েছে। এখানেই অবস্থিত বীরভূম জেলার একমাত্র পাহাড় মামা ভাগ্নে। যা এই জেলার দুবরাজপুর শহরের কাছে অবস্থিত।
বীরভূম জেলার পৌরসভা কয়টি ?
উঃ বীরভূম জেলায় রয়েছে ৬ টি পৌরসভা।
উপসংহার :
বীরভূম জেলা বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত। এই জেলার আয়তন ৪ হাজার ৫৪৫ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলাকে ‘রাঙ্গামাটির দেশ’ বলা হয়ে থাকে। এই জেলার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে রয়েছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। জৈনদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ‘আচারাঙ্গ সূত্র’ অনুযায়ী, জৈন ধর্মের সর্বশেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর জৈন এই অঞ্চলে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। উক্ত গ্রন্থে এই জেলাকে ‘পথহীন দেশ’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।