এই জেলায় প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। মধ্যযুগে এই অঞ্চল ছিল দুর্গম অরণ্য। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ২৩ টি পরগনা ও মহল নিয়ে গঠিত হয়েছিল জঙ্গলমহল জেলা। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ১৮৩৩ সালে এই জেলা ভেঙে মানভূম জেলা গঠন করা হয়। এরপর থেকেই পুরুলিয়া গ্রাম ধীরে ধীরে শহরে পরিণত হতে থাকে।
আর ১৮৩৮ সালে এই জেলা হয়ে যায় মানভূম জেলার সদর দপ্তর। তারপর ১৯১১ সালে মানভূম হয়ে যায় বিহার প্রদেশের অংশ। ১৯৫৬ সালে মানভূম জেলা পশ্চিমবঙ্গে নতুন জেলা রূপে যুক্ত হয়। এই জেলা ২২° ৩৪’ ও ২৩° ৪২’উত্তর অক্ষাংশে আর ৮৫° ৪৯’ ও ৮৬° ৫৪’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। আয়তনের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বৃহত্তম জেলা হলো এটি।
পুরুলিয়া জেলার ইতিহাস
এই জেলার প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানা যায়নি। তবে এই জেলায় প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। মধ্যযুগে এই অঞ্চল ছিল দুর্গম অরণ্য। তবে আদিবাসী বিদ্রোহে এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কোল, ভীল ও সাঁওতাল সহ বেশ কিছু জাতির নেতৃত্বে কৃষক বিদ্রোহ ঐতিহাসিক রূপ নিয়েছিল। আর এই বিদ্রোহে পুরুলিয়া জেলার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
১৭৬৫ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করেছিল। কিন্তু জয় করতে পারেনি পুরুলিয়া। এর প্রধান কারণ এই অঞ্চল সেই সময় অরণ্য সংকুল ছিল। এই অঞ্চলে একাধিকবার আদিবাসী বিদ্রোহ ঘটেছে। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ২৩ টি পরগনা ও মহল নিয়ে গঠিত হয়েছিল জঙ্গলমহল জেলা। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ১৮৩৩ সালে এই জেলা ভেঙে মানভূম জেলা গঠন করা হয়। এরপর থেকেই পুরুলিয়া গ্রাম ধীরে ধীরে শহরে পরিণত হতে থাকে। আর ১৮৩৮ সালে এই জেলা হয়ে যায় মানভূম জেলার সদর দপ্তর। তারপর ১৯১১ সালে মানভূম হয়ে যায় বিহার প্রদেশের অংশ। ১৯১২ সালে মানভূমে শুরু হয় বাংলা ভাষা আন্দোলন। তবে এই আন্দোলন বাঙ্গালীদের মধ্যে বড় আকার ধারণ করে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে। সেই সময় পুরুলিয়া জেলা ছিল বিহারের অন্তর্গত।
এই কারণেই হিন্দি ভাষা স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। মূলত এই কারণেই বাংলা ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। বহু লড়াইয়ের পর বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা পায়। আর ১৯৫৬ সালে মানভূম জেলা পশ্চিমবঙ্গে নতুন জেলা রূপে যুক্ত হয়।
পুরুলিয়া জেলার অবস্থান
এই জেলা মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত। গোটা পশ্চিমবঙ্গের সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত হল পুরুলিয়া জেলা। এই জেলা ২২° ৩৪’ ও ২৩° ৪২’উত্তর অক্ষাংশে আর ৮৫° ৪৯’ ও ৮৬° ৫৪’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। আয়তনের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বৃহত্তম জেলা হলো এটি। এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে রাজনৈতিক সীমানা। আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে ঝাড়খন্ড রাজ্য। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা আর উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে বর্ধমান জেলা। পুরুলিয়া জেলার পূর্ব দিকে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা।
পুরুলিয়া জেলার জনসংখ্যা
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী পুরুলিয়ার মোট জনসংখ্যা ২৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৬৫ জন। ভারতের ৭৩৯ টি জেলার মধ্যে পুরুলিয়ার স্থান ১২৯ তম। এই জেলার জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৬৮ জন। ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই জেলায় ১৫.৪৩ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জেলার লিঙ্গানুপাত ১০০০ : ৯৪০ (পুরুষ : মহিলা)।
পুরুলিয়া জেলার ভূ-প্রকৃতি
গঠনগতভাবে দামোদর অববাহিকা আর ছোটনাগপুর মালভূমির পূর্ব সীমানায় পুরুলিয়া জেলা অবস্থিত। এটি রাঁচি সমপ্রায় ভূমির অন্তর্গত। এখানে রয়েছে নিচু উপত্যকা আর বন্ধুর ভূমি ভাগ। পাশাপাশি রয়েছে খাড়া পাহাড় চূড়া। এই জেলার অধিকাংশ অঞ্চল সমভূমি। ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগ অনুসারে এই জেলাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :- ১. ল্যাটেরাইট উচ্চভূমি ও বিচ্ছিন্ন শিলাস্তূপ, ২. পাললিক সমভূমি এবং ৩. পশ্চিম ও দক্ষিণের বন্ধুর পাহাড়ি অঞ্চল।
পুরুলিয়া জেলার জলবায়ু
এই জেলার জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। এখানে গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শীতকালে এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে। বর্ষাকালে এই জেলার আপেক্ষিক আর্দ্রতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শীতকালে তা বেশ কিছুটা কমে যায়। এই জেলায় বর্ষাকালে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পুরুলিয়ার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১ হাজার ৫০ মিলিমিটার থেকে ১ হাজার ৪২০ মিলিমিটার। অনেক সময় গ্রীষ্মকালে পুরুলিয়ায় খরা দেখা দেয়।
পুরুলিয়া জেলার নদ-নদী
এই যে লাইভ বেশ কিছু নদনদী রয়েছে। এই জেলার ভূমি স্বাভাবিক ঢাল অনুযায়ী বেশিরভাগ নদী পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বয়ে চলেছে। তবে কংসাবতী নদী এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। পুরুলিয়ায় এই নদী দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বয়ে চলেছে। এখানকার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নদী হল – সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, কুমারী ও দামোদর ইত্যাদি। এই জেলার প্রধান নদী হল কংসাবতী। কুমারী নদী আসলে কংসাবতীর উপনদী। এই জেলায় কংসাবতীর বয়স কয়েকটি উপনদী প্রবাহিত হয়েছে। যেমন – হনুমন্ত নদী, বান্ধু নদী, চাকনা নদী ও তেরে নদী ইত্যাদি।
পুরুলিয়া জেলার বনাঞ্চল
পুরুলিয়া জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে অতুলনীয়। এই জেলায় মূলত ক্রান্তীয় অরণ্য দেখা যায়। এই জেলার ৭৫.০৫ হাজার হেক্টর জমিতে অরণ্য রয়েছে। এখানকার অরণ্যকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :- মিশ্র মুক্ত অরণ্য, মিশ্র ঘন অরণ্য, ঘন শাল অরণ্য, মুক্ত শাল অরণ্য ইত্যাদি। এই জেলার বনে অর্জুন, বাঁশ, সেগুন, আকাশমনি, পলাশ, জাম, শিরিষ, হরিতকি, নিম, আমলকি, কুসুম, আসান, মহুয়া, হলুদ ইত্যাদি।
পুরুলিয়া জেলার মৃত্তিকা
এই জেলার উপত্যকার উপরিভাগে রয়েছে অ্যালুভিয়াল মৃত্তিকা। মালভূমির উপরের অংশে রয়েছে অনুর্বর, কাঁকড়া যুক্ত এবং অগভীর মৃত্তিকা। এখানকার মাটির জল ধারণ ক্ষমতা ভীষণ কম। আর উপত্যকার মৃত্তিকা অল্প কাদাযুক্ত, গভীর ও মধ্যম গঠন যুক্ত। এই মাটিতে ধান চাষ ভালো হয়।
পুরুলিয়া জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
২০১৩-১৪ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী পুরুলিয়া জেলায় মোট ৩ হাজার ৩১৬ টি স্বীকৃত বিদ্যালয় রয়েছে। এখানকার বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫২ জন আর মোট ছাত্রী সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৩ জন। এখানকার কয়েকটি বিদ্যালয় হল – পুরুলিয়া জিলা স্কুল, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়। এছাড়াও এই জেলায় ১১ টি ডিগ্রী কলেজ ও ৩ টি পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে। এই যে আর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হল সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার কয়েকটি কলেজ হল – মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়, পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়, নিস্তারিণী কলেজ, বলরামপুর কলেজ, পুরুলিয়া পলিটেকনিক, পুরুলিয়া হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নেতাজি সুভাষ আশ্রম মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি।
পুরুলিয়া জেলার শিল্প
এই জেলার প্রধান শিল্প হল ছৌ নাচে ব্যবহৃত মুখোশ ও বাদ্যযন্ত্র তৈরি। বাঘমুন্ডি থানার চড়িদা গ্রামের ৪০ টি সূত্রধর পরিবার আর জয়পুর থানার ডুমুরডি গ্রামের ৫ টি পরিবার ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করে। এছাড়াও পুরুলিয়ার অন্যান্য জায়গাতেও কমবেশি এই মুখোশ তৈরি করা হয়ে থাকে।
পুরুলিয়া জেলার পরিবহন ব্যবস্থা
এই জেলার পরিবহন ব্যবস্থা বেশ উন্নত। দক্ষিণ পূর্ব রেলপথ বিভাগের প্রধান তিনটি রেলপথের যোগাযোগ রয়েছে এই জেলার সাথে। দিল্লী, আসানসোল, রাঁচি, পাটনা, চেন্নাই, টাটানগর, হাওড়া, লখনৌ, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর, দুর্গাপুর, পুরী ও মুম্বাইয়ের মত শহরের সাথে রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে পুরুলিয়ার।
এছাড়াও সড়ক পথের মাধ্যমেও যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত রয়েছে। বলা বাহুল্য এই জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম হল সড়ক পথ। ন্যাশনাল হাইওয়ে ১৮ এই জেলার উপর দিয়েই গেছে। এছাড়াও গেছে স্টেট হাইওয়ে ৫।
পুরুলিয়া জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
এই জেলার সাথে সম্পর্কযুক্ত কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন –
১. বাসন্তী রায় :- বিপ্লবী, লোক সেবায়তন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা।
২. অতুল চন্দ্র ঘোষ :- স্বাধীনতা সংগ্রামী, লোকসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা।
এছাড়াও রয়েছেন – লাবণ্যপ্রভা ঘোষ, ভাবিনি মাহাতো ও নিবারণ চন্দ্র দাসগুপ্ত।
পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থা
পুরুলিয়া জেলায় ২৬ টি থানা রয়েছে। এই জেলায় মোট ২০ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে। আর রয়েছে ৪ টি মহকুমা। যথা :- রঘুনাথপুর, মানবাজার, পুরুলিয়া সদর ও ঝালদা। এই জেলায় রয়েছে ৩ টি পৌরসভা রয়েছে। যথা :- রঘুনাথপুর পৌরসভা, পুরুলিয়া পৌরসভা ও ঝালদা পৌরসভা। পুরুলিয়া জেলার সদর শহর হল পুরুলিয়া। এছাড়াও রয়েছে ১৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আর ২ হাজার ৪৫৯ টি গ্রাম।
Afq :
পুরুলিয়া জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?
উঃ পুরুলিয়া জেলা ছৌ নাচের জন্য বিখ্যাত।
পুরুলিয়া জেলায় কয়টি ব্লক রয়েছে ?
উঃ এই জেলায় মোট ২০ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে।
পুরুলিয়া জেলার মহকুমা কয়টি ?
উঃ পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে ৪ টি মহকুমা। যথা :- রঘুনাথপুর, মানবাজার, পুরুলিয়া সদর ও ঝালদা।
পুরুলিয়া জেলায় কয়টি থানা আছে ?
উঃ পুরুলিয়া জেলায় ২৬ টি থানা রয়েছে।
পুরুলিয়া জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখ।
উঃ এখানকার কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র হল – পুরুলিয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতাল ইত্যাদি।
পুরুলিয়া জেলার প্রধান নদী কোনটি ?
উঃ পুরুলিয়া জেলার প্রধান নদী হল কংসাবতী।
পুরুলিয়া জেলার পাহাড় সম্পর্কে লেখ।
উঃ পুরুলিয়া জেলায় ৬৭০ মিটার উচ্চতার অযোধ্যা পাহাড় রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পাঞ্চেত পাহাড়, দলমা পাহাড় ও বেলামু পাহাড়। এছাড়াও রয়েছে গোর্গাবুরু। এই পাহাড়টি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল তথা পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
পুরুলিয়া জেলার পৌরসভা কয়টি ?
উঃ এই জেলায় রয়েছে ৩ টি পৌরসভা রয়েছে। যথা :- রঘুনাথপুর পৌরসভা, পুরুলিয়া পৌরসভা ও ঝালদা পৌরসভা।
উপসংহার :
এই জেলার উত্তর দিকে রয়েছে রাজনৈতিক সীমানা। আর দক্ষিণ দিকে রয়েছে ঝাড়খন্ড রাজ্য। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা আর উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে বর্ধমান জেলা। পুরুলিয়া জেলার পূর্ব দিকে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। পুরুলিয়া জেলায় ২৬ টি থানা রয়েছে। এই জেলায় মোট ২০ টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক রয়েছে। আর রয়েছে ৪ টি মহকুমা। যথা :- রঘুনাথপুর, মানবাজার, পুরুলিয়া সদর ও ঝালদা।
এই জেলায় রয়েছে ৩ টি পৌরসভা রয়েছে। যথা :- রঘুনাথপুর পৌরসভা, পুরুলিয়া পৌরসভা ও ঝালদা পৌরসভা। এই জেলার প্রধান শিল্প হল ছৌ নাচে ব্যবহৃত মুখোশ ও বাদ্যযন্ত্র তৈরি। বাঘমুন্ডি থানার চড়িদা গ্রামের ৪০ টি সূত্রধর পরিবার আর জয়পুর থানার ডুমুরডি গ্রামের ৫ টি পরিবার ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করে। এছাড়াও পুরুলিয়ার অন্যান্য জায়গাতেও কমবেশি এই মুখোশ তৈরি করা হয়ে থাকে। দিল্লী, আসানসোল, রাঁচি, পাটনা, চেন্নাই, টাটানগর, হাওড়া, লখনৌ, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর, দুর্গাপুর, পুরী ও মুম্বাইয়ের মত শহরের সাথে রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে পুরুলিয়ার।